পড়াশোনা করতে ইউক্রেনে গিয়ে আটকে কালনার একই পরিবারের দুই ছেলে, উদ্বেগে পরিবার

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কালনা: ইউক্রেনের (Ukraine) ওপর রাশিয়ার (Russia) হামলার দ্বিতীয় দিনেও সামনে আসছে একের পর এক ধ্বংসের খবর। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে ইউক্রেনের আকাশ ধোয়াচ্ছন্ন। ভয়াবহ চেহারা রাজধানী কিয়েভের। বিস্ফোরণের শব্দে তটস্থ আমজনতা। বসে নেই ইউক্রেনও। রাশিয়ার আঘাতের জবাবে পাল্টা আক্রমণে একাধিক রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ও ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে ইউক্রেন সেনা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ইউক্রেন সেনা সাতটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। তছনছ করেছে ৩০টি রাশিয়ান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক। পাশাপাশি যুদ্ধের দ্বিতীয়দিনেও রাশিয়ান আক্রমণ অব্যাহত। পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে কিয়েভ। শহরের মধ্যস্থলে পরপর দুটি বিস্ফোরণ শোনা গিয়েছে বলে খবর। ইউক্রেন পুলিশের অনুমান, ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন ইউক্রেনবাসী। এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে ইউক্রেনে বসবাসকারী দেশ বিদেশের মানুষের পরিবারের সদস্যদের।

এদিকে এই যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব জুড়ে। এরই মধ্যে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ইতিমধ্যেই ভারত সরকার ইউক্রেনে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে। প্রায় ২০হাজার ভারতীয় এই মুহূর্তে ইউক্রেনে রয়েছেন বলে খবর। সেখানকার ভারতীয় দূতাবাস সকলকে নিরাপদে ফেরত পাঠাতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে সংবাদ সংস্থা কে জানিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার মুক্তারপুর এলাকার একই পরিবারের দুই পড়ুয়া কম্পিউটার ডিপ্লোমা করতে ইউক্রেনে গিয়ে বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আটকে আছেন বলে তাদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

পরিবারের সদস্যরা এদিন তাদের উদ্বেগের কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। বিকাশ হালদার ও বিভাষ হালদার সম্পর্কে দুই ভাই। তাদের পরিবারের সদস্য ধনঞ্জয় হালদার জানিয়েছেন, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুই ভাই হোস্টেল ছেড়ে ভারতীয় দূতাবাসে চলে এসেছে। তাদের সঙ্গে অনলাইনে কথাও হয়েছে পরিবারের সদস্যদের। বিভাষ ও বিকাশ দুজনেই জানিয়েছেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। মুহুর্মুহু রাশিয়ান হামলায় ত্রস্ত গোটা দেশ।

তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় দূতাবাস থেকে হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, রোমানিয়া এই চারটি দেশ হয়ে ভারতে পাঠাতে ইতিমধ্যেই ইউক্রেন এয়ারবেসের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। ইউক্রেন থেকে বিভাষ জানিয়েছে, শুকনো খাবার খেয়েই এখন তারা আছেন। যতো দ্রুত সম্ভব ভারতে ফিরে আসার অপেক্ষা করছেন তারা। তাদের পরিবারের সদস্যরাও দিনরাত প্রার্থনা করছেন যাতে তাদের ঘরের ছেলে তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে আসে।

Recent Posts