পরিযায়ী শ্রমিকরা যত ফিরছেন ততই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, তীব্র আতংক জেলা জুড়ে

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পরিযায়ী শ্রমিকরা জেলায় ঢুকতেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে গেছে, শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪। যদিও জেলাশাসক জানিয়েছেন, সিএমআরআই-এর রিপোর্ট ছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পজিটিভ কেস সম্পর্কে কিছু সঙ্গে সঙ্গে বলতে পারছেন না। তবে এরই এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫জন।
এদিকে, প্রশাসনেরই একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, কেবলমাত্র কালনা মহকুমাতেই গত কয়েকদিনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬জনে। এর মধ্যে রয়েছেন মন্তেশ্বরের ২জন, পূর্বস্থলীর একজন এবং কালনার ১ ও ২ ব্লকের মোট ৩জন। এরই পাশাপাশি শুক্রবার রাতে বর্ধমানের বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের উদয়পল্লী এলাকার ১ বছরের এক শিশুর করোনা পজিটিভ মিলেছে। যদিও শিশুর মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। রবিবার শিশুর বাবার রিপোর্ট আসার কথা।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, ওই শিশুটিকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, গলসীর শিড়রাই গ্রামে এক মহিলার রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাঁকে দুর্গাপুরের শনকায় ভর্তি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা ১০জনকে শনিবারই বর্ধমানের ক্যামরি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে প্রতিদিন যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা জেলায় ফিরছেন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাতে গোটা জেলা জুড়েই আতংক তীব্র হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর নজরদারী আরও বাড়াতে জামালপুর, মাধবডিহি এবং গলসীতে স্ক্রিনিং-এর ওপর জোড় দেওয়া হয়েছে। আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্ক্রিনিং টেষ্ট করার পর তাঁদের বাড়ি পাঠানো হলেও ক্রমশই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জেলা প্রশাসন সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টারে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে।
এদিকে, এরই পাশাপাশি শুক্রবার কালনা ২এর সাতগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় হোম কোয়ারেণ্টাইনে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাইরে বের হতে নিষেধ করায় আশা কর্মীদের ওপর চড়াও হবার অভিযোগ উঠেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শুক্রবারই কালনা ২এর বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে আশা কর্মীরা নিরাপত্তার দাবী জানিয়েছেন।
আশা কর্মীর জানিয়েছেন, যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন তাঁদের বাড়ির মধ্যেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও তাঁরা তা না মেনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এব্যাপারে তাঁরা ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের বোঝাতে গেলে তাঁরা তাঁদের হেনস্থা করেন। এদিকে, এই অভিযোগ পাবার পরই কালনা থানাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও মিলন দেবঘড়িয়া।

Recent Posts