পুজোর আনন্দ থেকে কেউ বঞ্চিত থাকবে না, দেবীপক্ষের সূচনায় শপথ বিধায়কের
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: করোনার ভ্রুকুটি কে অগ্রাহ্য করে বৃহস্পতিবার পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় প্রতিবছরের মত এবারও দামোদরের বিভিন্ন ঘাটে উপচে পড়ল ভিড়। আর এই পবিত্র দিনেই অভিনব প্রতিশ্রুতির কথা ঘোষণা করলেন পূর্ব বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদরের রায়নার তৃণমূল বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই। এদিন তিনি জানিয়েছেন, এই মহালয়ার দিনই তিনি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রায়না বিধানসভার ১৫টি অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ একযোগে শপথ নিয়েছেন আসন্ন দুর্গাপুজোয় তাঁর বিধানসভা এলাকার এমন একটি বাড়িও থাকবে না, যাঁরা কোনোরকমভাবে পুজোর আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকবেন।
তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে তাঁরা একটি পরিকল্পনাও ছকে ফেলেছেন। অপেক্ষা করছেন দলনেত্রীর পরবর্তী নির্দেশের জন্য। নেপালবাবু জানিয়েছেন, চলতি করোনার পাশাপাশি আমফানেও রায়না বিধানসভা এলাকার বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যে করোনার জেরে বহু মানুষ রোজগার হারিয়েছেন। কিন্তু এসবের জন্য যাতে কোনো ভাবেই পুজোর আনন্দ ম্লান না হয়ে যায় সেজন্য তাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁর বিধানসভা এলাকার ১৫টি অঞ্চল জুড়েই অসহায়দের পাশে বস্ত্র, খাবার সহ তাঁদের ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করবেন। আর এজন্য দলের প্রতিটি কর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাড়ি বাড়ি খোঁজ খবর রাখার জন্য।
তিনি জানিয়েছেন, দলনেত্রীর নির্দেশ আসার পরই দলের সমস্ত স্তরের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে তাঁরা পরিকল্পনামাফিক ঝাঁপিয়ে পড়বেন এই কাজে। এদিকে, বৃহস্পতিবার দামোদরের ঘাটে তর্পণের জন্য ভিড় ছিল অন্যান্য বছরের মতই। তবে এবছর করোনাতঙ্ক কে দূরে সরিয়ে রেখে রীতিমতো সামাজিক দূরত্ব কিংবা মাস্ক ছাড়াই তর্পণ পর্ব সারলেন অসংখ্য মানুষ।