জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইভটিজিং সহ পুজোর সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ৫৯জনকে। এছাড়াও মদ, গাঁজা খাওয়া সহ অন্যান্য অপরাধজনিত কারণে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ১৩জনকে। উল্লেখ্য, এবছর প্রথম পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ করোনাজনিত কারণে বাড়িতে বসেই যাতে সাধারণ মানুষ পুজো এবং ঠাকুর দেখার আনন্দ পেতে পারেন সেজন্য ভার্চুয়াল দুর্গাপুজোর আয়োজন করে। বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পুলিশের এই ভার্চুয়াল দুর্গাপুজো দর্শন এ্যাপের মাধ্যমে বর্ধমান শহর ও শহরতলীর বিশেষত আশপাশের গ্রামাঞ্চলের মানুষ ঠাকুর দেখার আনন্দ পেয়েছেন রীতিমত নজরকাড়া ভাবেই।
তিনি জানিয়েছেন, মোট ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৮০৩জন মানুষ এই এ্যাপ ব্যবহার করে সারদোৎসবের আনন্দ উপভোগ করেছেন। শুধু তাইই নয়, গলসীর ১টি পুজো মণ্ডপ সহ বর্ধমান শহরের ২৫টি পুজো মণ্ডপ লাইভ ক্যামেরার আয়োজন করেছিল। ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষের ভিড় অন্যান্যবারের তুলনায় কম ছিল শহরে। কোথাও কোথাও পুজো মণ্ডপে পুলিশের এই এ্যাপের মাধ্যমে জায়েণ্ট স্ক্রীণ লাগিয়ে ঠাকুর দেখার ব্যবস্থাও করেছিলেন বেশ কিছু পুজো কমিটি।
এছাড়াও পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবারই প্রথম ৪টি গ্রুপে পরিদর্শকমণ্ডলী গড়ে তোলা হয়। এই পরিদর্শকমণ্ডলীর টিমে ছিলেন ২জন ডাক্তার, ২জন আইনজীবী, ১জন এপিপি, ১জন শিক্ষক, ১জন অধ্যাপক সহ পুলিশ অফিসাররা। জানা গেছে, এই পরিদর্শকমণ্ডলী প্রায় সমস্ত পুজো মণ্ডপই ঘুরে দেখেছেন। যাঁরা সরকারী সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে সুষ্ঠভাবে পুজো সম্পন্ন করেছেন তাঁদের যেমন পুরষ্কৃত করার কথা ভাবা হচ্ছে তেমনি, যাঁরা সরকারী বিধি ভঙ্গ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে বলেও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।