পূর্ব বর্ধমানে আগামী বিধানসভা ভোটের আগেই নতুন করে সাড়ে সাতশো রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বিধানসভা ভোটের আগে নতুন করে পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রায় ২৩টি ব্লক জুড়েই আরও কিছু নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ হাতে নিতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। গত ২৫ আগষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার রাস্তাঘাটের কাজ প্রত্যাশামত সম্পূর্ণ না হওয়ায় রীতিমত ভর্ৎসনা করেছিলেন জেলাশাসককে। রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীন বিভিন্ন রাস্তা যা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবার কথা ছিল তা না হওয়ার ঘটনায় এক সপ্তাহের মধ্যে সেই সমস্ত রাস্তার কাজ সিংহভাগ করার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। তলব করেছিলেন এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্টেরও।
যথারীতি মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ অনুসারে সোমবারই জেলার ৯৫কিমি রাস্তার রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই ৯৫ কিমি রাস্তার মধ্যে অধিকাংশ রাস্তার কাজেই দ্বিগুণমাত্রায় গতি এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাবার পরই জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত দফায় দফায় ওই সমস্ত রাস্তার কাজ পরিদর্শন করেন। একইসঙ্গে কাজের গতি আনা এবং দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি, বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রধান প্রমুখদের নিয়ে কোথায় কি জটিলতা বা সমস্যা হয়েছে তা মেটানোর উদ্যোগ নেন।
এসআরডি দপ্তরের ওই ৯৫কিমি রাস্তার পাশাপাশি এবার গোটা জেলা জুড়েই প্রতিটি ব্লকে ৫ কিমি এবং তার উর্ধে আরও বেশ কিছু রাস্তার পরিকল্পনা তৈরী হয়ে গেল। জানা গেছে, সম্প্রতি পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদকে প্রতিটি ব্লক থেকে ৫ কিমি বা তার উর্ধে বড় নতুন রাস্তার বিষয়ে পরিকল্পনা চাওয়া হয়। তারই ভিত্তিতে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে প্রায় ৭৫০ কিমি নতুন রাস্তার প্রস্তাব পাঠিয়ে দিলেন। জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে ওই প্রস্তাব জমা পড়ার পর পঞ্চায়েত দপ্তর আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নতুন করে বেশ কিছু রাস্তার অনুমোদন দেবে।
জানা গেছে, নতুন করে যে সমস্ত রাস্তাগুলির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেগুলি আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করা হবে। রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে নির্দেশ আসার পর জেলার ২৩টি ব্লক থেকেই পঞ্চায়েত সমিতি, বিধায়ক প্রমুখদের মাধ্যমে কোথায় কি কি রাস্তা রয়েছে তা জমা পড়ে জেলা পরিষদে। আর এরপরেই যুদ্ধকালীন তত্পরতায় সমস্ত রাস্তার তালিকা পাঠানো হল রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরে।

Recent Posts