ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান:
আনলক ২ চালুর পাশাপাশি এবার জোর কদমে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে সরাসরি চাষীদের কাছ থেকে সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হল সোমবার। সোমবার রাজ্যের চীফ সেক্রেটারীর সঙ্গে জেলা প্রশাসনের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার ধান কেনার অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাওয়া হয় বলে জানা গেছে। এরই পাশাপাশি এই ভিডিও কনফারেন্সের পর পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের মনিটরিং কমিটির বৈঠক বসে। এই বৈঠকে ধান কেনার কাজে গতি আনার পাশাপাশি রেশন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলা রাইস মিল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, লকডাউনের আগেই জেলার ৫টি রাইস মিল ধান নেওয়ার পরও তাঁরা সরকারকে চাল না দেওয়ায় তাঁদের নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই লকডাউন চালু হয়ে যাওয়ায় এদিন বৈঠকে এই লকডাউনের ৭২দিনের সময়কে বাড়ানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এই ৭২ দিনের মধ্যে তাঁরা সরকারকে প্রয়োজনীয় চাল দেবেন। এছাড়াও এবারেই প্রথম সরকারী সহায়ক মূল্যে বোরো ধান কেনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এতদিন কেবলমাত্র আমন ধানই কেনা হত।
সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, যেহেতু চলতি পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের প্রচুর চালের প্রয়োজন হয়ে পড়ছে তাই এবারই প্রথম বোরো ধান কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমফানের প্রভাবে যেহেতু এবার ধানের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে তাই এব্যাপারে স্থানীয় বিধায়কদের সমস্যা মেটানোর জন্য বলা হয়েছে। এদিন বৈঠকের পর পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব মণ্ডল জানিয়েছেন, চলতি বছরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। বাকি ধান কেনার জন্য এদিন সকলকে এগিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, গলসীতে ধান কেনার ক্ষেত্রে বাটা নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসনকে এব্যাপারে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে সমস্যা মেটানোর জন্য বলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আমফানে ক্ষতির বিষয় মাথায় রেখেই রাইসমিল এবং স্থানীয় বিধায়কদের নিয়ে গঠিত কমিটিকে মীমাংসা করতে বলা হয়েছে। মেহেবুব মণ্ডল জানিয়েছেন, জেলার যে ৫ টি রাইস মিল ধান নিয়েও চাল দেননি বর্ধিত সময়ের মধ্যে তাঁরা চাল না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।