বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানে গত ২৪ঘন্টায় নতুন করে আরও চারজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির হদিস পাওয়া যেতেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ালো জেলা জুড়ে। এ নিয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ছ’ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে জেলায়। সোমবার রাতে ভাতারের বড় পোষলা ও মঙ্গলকোটের নতুনহাটের দুজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। মঙ্গলবার বড় পোষলা গ্রামের আক্রান্তের সংস্পর্শে আশায় আরও একজনের করনা পজিটিভ রিপোর্ট মিলেছে। এছাড়াও মন্তেশ্বরের এক দম্পতির পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এছাড়াও কালনার সিমলা গ্রামে কলকাতার এক পুলিশ কর্মীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, ভাতারের বড় পোষলা গ্রামের বাসিন্দা আক্রান্ত যুবক হরিয়ানায় স্টিল পালিশের কাজে যুক্ত ছিলেন। হরিয়ানা থেকে দিল্লি হয়ে তিনি বাসে এ রাজ্যে ফেরেন। অন্যদিকে মঙ্গলকোটের নতুনহাটের বাসিন্দা এক যুবক চেন্নাই থেকে ট্রেনে পুরুলিয়া হয়ে বাসে বাড়ি ফিরেছিলেন। আজ যে চার জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে তাদের একজন ভাতারের বড় পোষলা গ্রামের আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
অন্যদিকে জানা গেছে, মন্তেশ্বরের আক্রান্ত ওই দম্পতি দিল্লির চাঁদনিচকে গয়না শিল্পের কাজ করতেন। ১৬ মে বিশেষ ট্রেনে ফিরেছিলেন তাঁরা। এরপর তাঁদের বর্ধমানের কৃষি খামারের কোয়ারান্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার তাঁদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
অন্যদিকে, কালনার সিমলা গ্রামের আক্রান্ত ব্যক্তি কলকাতা পুলিশে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে। তিনি মাঝেমধ্যেই বাড়ি আসছিলেন। এব্যাপারে এলাকার মানুষ প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার তাঁর রিপোর্টও করোনা পজিটিভ হিসেবে এসে পৌঁছায় বলে জানা গিয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায় বলেন, গত চব্বিশ ঘন্টায় জেলার ছ জন বাসিন্দার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাঁদের প্রত্যেককেই দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ভাতার ও মঙ্গলকোটের নতুনহাট কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষনা করা হয়েছে। মন্তেশ্বর ও কালনাতেও কন্টেইনমেন্ট জোন হচ্ছে। ওইসব এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরার কাজ চলছে।