ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পুলিশের শারীরিক
ও মানষিক সক্ষমতা বাড়াতে অনেক আগে থেকেই একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিককালে পুলিশ কর্মীদের শারীরিক ও মানষিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য চালু হয়েছিল ধ্যান বা মেডিটেশন পদ্ধতিও। পূর্ব বর্ধমান জেলার ক্ষেত্রে একটি সংস্থাকে দিয়ে পুলিশ কর্মীদের ধারাবাহিকভাবে মেডিটেশন প্রক্রিয়াও চলছে। আর তারপরেও জেলার সাব ইন্সপেক্টর থেকে কনষ্টেবলদের একাংশের মধ্যে বেশকিছু অসংগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। গোটা রাজ্য জুড়েই তাই নতুন করে এই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের সংশোধনের রাস্তায় নিয়ে আসতে চালু করা হল ডিষ্ট্রিক্ট ওয়েলনেস সেণ্টার।
বৃহস্পতিবার বর্ধমান জেলা পুলিশ লাইনে এই সেণ্টারের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সৌভিক পাত্র, ডিএসপি সশস্ত্র বাহিনী পবিত্র কুমার বারিক সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য অধিকারিকগণ। পুলিশ সুপার এদিন জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় সাব ইন্সপেক্টর থেকে কনষ্টেবলদের জন্য সপ্তাহে ৩দিন করে চালু হচ্ছে নতুন পদ্ধতিতে কাউন্সেলিং। থাকছেন ডাক্তার, মনোবিদ। প্রথমে একের প্রতি এক এবং পরে প্রয়োজনবোধে গ্রুপ তৈরী করে সপ্তাহে ৩দিন করে চলবে এই কাউন্সেলিং।
কিন্তু কেন প্রয়োজন হল এই উদ্যোগের? এর উত্তরে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অনেক পুলিশ কর্মী নানা কারণেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ পারিবারিক বা নানাকারণে মানষিক অবসাদেও ভুগছেন। আবার কেউ কেউ আচমকাই রেগে যাচ্ছেন বা উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন। ফলে পুলিশ কর্মীদের যে স্বাভাবিক ধৈর্য্য, সহনশীলতা প্রভৃতি গুণগুলি থাকা দরকার অনেক সময়ই তা ব্যাহত হচ্ছে। আর এবার তাই নতুন তৈরি এই সেণ্টার থেকে সেই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের শারীরিক ও মানষিক সমস্যা থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা চালানো হবে। এই সেণ্টারে তিনটি ভাগে কাউন্সেলিং চালানো হবে। মনোবিদরা চেষ্টা চালাবেন তাঁদের এই সমস্যা কাটিয়ে তোলার জন্য। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করছেন এর মাধ্যমে তাঁরা ভাল ফল পাবেন।