বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আলু নিয়ে যখন গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও হাহাকার শুরু হয়েছে সেই সময় কেন সরকার কর্তৃক কেনা আলু বাজারে সহায়কমূল্যে দেওয়া হচ্ছে না – এই প্রশ্ন উঠেছে। আর এরপরেই এব্যাপারে নজীরবিহীনভাবে সাধু উদ্যোগ নিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল। তিনি জানিয়েছেন, চলতি সময়ে বাজারে আলুর দাম ভয়ানকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। অথচ এবছর রাজ্য সরকার সরাসরি চাষীদের কাছ থেকে ৫৫০টাকা দরে আলু কিনে তা বিভিন্ন হিমঘরে মজুদ রেখেছেন। যার পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৬৩.০৫ কুইণ্টাল।
মহম্মদ ইসমাইল জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর নজরে আসার পরই তিনি এব্যাপারে জেলাশাসক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে ওই আলু সুফল বাংলা স্টলের মাধ্যমে যাতে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে আবেদন করেছেন। উল্লেখ্য, জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ৮টি হিমঘরে এই ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৬৩.০৫ কুইণ্টাল আলু মজুদ রয়েছে সরকারের। তার মধ্যে মেমারী ২নং ব্লকের ঝিকড়া গ্রামে কার্তিক চন্দ্রের হিমঘরে রয়েছে ২৮ হাজার ৫৫৪.০৫ কুইণ্টাল আলু। মেমারী ২ ব্লকের রায়বাটির জয়ন্তী কোল্ড স্টোরেজে রয়েছে ৭ হাজার ০৯৫ কুইণ্টাল আলু। মেমারী ১ ব্লকের মগড়ায় মগড়া কোল্ড স্টোরেজে রয়েছে ৫২০৬ কুইণ্টাল আলু।
পাশাপাশি কালনা – ১ ব্লকের বেলের হাটে মহাকাল কোল্ড স্টোরেজে রয়েছে ৩২ হাজার ৩৫৩ কুইণ্টাল আলু। মেমারী ১ ব্লকের তক্তিপুরে জয় মা কালী হিমঘরে রয়েছে ৭ হাজার ২৫৮ কুইণ্টাল আলু। জামালপুরের আঝাপুরে চণ্ডীমাতা কোল্ড স্টোরেজে রয়েছে ১০ হাজার ৪০৫. ০৫কুইণ্টাল আলু। এই ব্লকের শীতলপুর মহীন্দ্র কালীমাতা কোল্ড স্টোরেজে রয়েছে ২৩ হাজার ৮৯২ কুইণ্টাল আলু এবং মেমারী ২ ব্লকের সাতগেছিয়া অগ্রসেন কোল্ড স্টোরেজে রয়েছে ১৩ হাজার ১৯৯. ০৫ কুইণ্টাল আলু।
মহম্মদ ইসমাইল জানিয়েছেন, মজুদ হওয়া এই আলু এই সময় সাধারণ মানুষকে সুফল বাংলা স্টলে সরকারী মূল্যে যাতে দেওয়া যায় তাহলে তা সাধারণ মানুষের উপকার হবে। আর তাই তিনি জেলাশাসক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাজারে খুচরো আলুর দাম অত্যাধিক হারে বেড়ে চলায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় টাস্ক ফোর্সকে নির্দেশ দিয়েছেন। তারই অঙ্গ হিসাবে গত বৃহস্পতিবার জেলার টাস্ক ফোর্স টিম বর্ধমানের একাধিক বাজারে ঘুরে আলু ও পিঁয়াজের দাম খতিয়ে দেখেছেন।