তিনি জানিয়েছেন, জেলার প্রতিটি ব্লক স্তরের টাস্ক ফোর্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি স্কুলকে উপযুক্তভাবে জীবাণু মুক্ত করার কাজ খতিয়ে দেখার জন্য। তারপরেও যদি প্রয়োজন হয় বা কোনো ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের আবেদন আসে তাহলে সে ব্যাপারেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক রজত নন্দা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানে মোট ১৭২টি ট্রেন বর্ধমান ষ্টেশনে এসেছে। এই ট্রেনগুলি থেকে মোট ২৯ হাজার ৭৬০জন যাত্রী এবং পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন বর্ধমান ছাড়াও, নদীয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া, হুগলী প্রভৃতি জেলার বাসিন্দারাও।
তিনি জানিয়েছেন, এই যাত্রীদের মধ্যে কেবলমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলায় ফিরেছেন ১৯ হাজার ২২৭জন। রজত নন্দা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে গড়ে প্রতিটি ট্রেন থেকে ১৬০০জন করে নামছিলেন। কিন্তু বর্তমানে গড়ে বর্ধমান ষ্টেশনে ১০টি করে ট্রেন ঢুকলেও তাতে আসছেন গড়ে ৬০০জন করে। ফলে বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের আসার সংখ্যা আগের থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেক কমছে। স্বাভাবিকভাবেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও কমছে। আর সেজন্যই কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টারের প্রয়োজনীয়তাও কমছে। তিনি জানিয়েছেন, কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টার থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের নিজের বাড়িতে হোম কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টারে পাঠানো হচ্ছে। ফলে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই জেলার কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টার দ্রুত কমতে চলেছে।