পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সমস্ত বালি খাদান খুলে দিয়েছে, তবু পুলিশি বাধায় বন্ধ গলসির শিকারপুরের ৮টি ঘাট! ক্ষোভ

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: লকডাউনের মধ্যেই 
গত ৪মে রাজ্যের মুখ্য সচিব পূর্ব বর্ধমান জেলার বৈধ বালি ঘাটগুলি থেকে শর্তসাপেক্ষে বালি উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর তারপরেই জেলাশাসকের নির্দেশে ৯মে থেকে বন্ধ থাকা জেলার বালিঘাট গুলিতে স্বাভাবিক কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও গলসির শিকারপুর এলাকার ৮টি বালিঘাট এবং কালনার দুটি ঘাট কে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই সময়। কিন্তু পরে জেলাশাসক নির্দেশ দেন বন্ধ থাকা ঘাট গুলিকেও খুলে দেওয়ার।
এদিকে প্রশাসনের নির্দেশের পরেও প্রায় ১২দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো গলসি ২ব্লকের দক্ষিণ ভাসাপুর ও ডুমুর মৌজার ৮টি বালি ঘাট কে খুলতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জেলাশাসকের কাছে শুত্রুবার অভিযোগ জমা করলেন শিকারপুর এলাকার একাধিক বালিঘাট মালিক। জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় থানার বিরোধিতায় এই ঘাট গুলো তাদের কাজ শুরু করতে পারছে না। আর এই নিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয় গ্রামবাসী থেকে বালি ঘাটে কাজ করে পেট চলে এমন কয়েকশো মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ৪মে রাজ্যের মুখ্য সচিব একটি নির্দেশ জারি করে শর্তসাপেক্ষে বালিঘাট গুলিকে খোলার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মোতাবেক ১০দফা শর্ত আরোপ করা হয় বালিঘাট গুলি চালানোর ক্ষেত্রে। আর এরপরেই গত ৮মে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী নির্দেশ জারি করে জেলা পুলিশ সুপার, বনাধিকারীক, সমস্ত মহকুমা শাসক, দামোদর ক্যানেল ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ অফিসার, আসানসোল, দুর্গাপুরে রাজ্য পলিউসন কন্ট্রোল বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার সহ জেলার প্রত্যেক এসডিএল এন্ড এলআরও এবং বিএল এন্ড এলআরও দের সেই নির্দেশের কপি পাঠিয়ে দেন।

সেই অনুযায়ী ৯মে থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের বালীঘাট গুলি কে সচল করার প্রক্রিয়া শুরু করেন বালিঘাট মালিকরা। এমনকি জেলাশাসক শুত্রুবার জানিয়েছেন, গলসি থানার শিকারপুর এলাকায় গত ৩১ডিসেম্বরে রাতে বালির গাড়ি চাপা পড়ে একই পরিবারের যে পাঁচজন মারা গিয়েছিলেন তাঁদের ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ টাকা সরকারি ভাবে সাহায্য করা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন বলি ঘাট মালিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, ঘাট বন্ধ থাকলেও লকডাউনের মধ্যে এই এলাকার গ্রামবাসীদের নানান ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাওয়া হয়েছে। 
তাদের অভিযোগ, এরপরেও আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে গলসি থানার পুলিশ বালি ঘাট গুলোকে খুলতে দিচ্ছে না। ফলে নিদারুণ অর্থ সংকটে ভুগছেন বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই এলাকার প্রায় কয়েকশো গ্রামবাসী। জেলাশাসক এদিন জানিয়েছেন, ঘাট খুলে দেবার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। আর সেই নির্দেশ মোতাবেক জেলা থেকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরেও কেন ঘাট মালিকরা ব্যবসা করতে পারছেন না সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, নির্দেশ জারি আছে, খুব শীঘ্রই বালি ঘাট গুলোর কাজ শুরু হয়ে যাবে।

আরো পড়ুন