ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পঞ্চম দফার ভোটে পূর্ব বর্ধমান জেলার ৮ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ ১৭ এপ্রিল।
খণ্ডঘোষ: একদা সিপিএমের দুর্গ। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানকার সিপিএম বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ তৃণমূলে যোগদান করেন। প্রার্থী হন। জিতে তৃণমূল বিধায়ক হন। এবারও দল তাঁকে টিকিট দিয়েছে। এই বিধানসভা কেন্দ্রটি আবার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত। যার সাংসদ তৃণমূল থেকে পদ্মশিবিরে যাওয়া সৌমিত্র খাঁ। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি জিতলেও খণ্ডঘোষে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। একুশের নির্বাচনে হাড্ডাহাডি লড়াই এই কেন্দ্রে। তৃণমূলের পক্ষে মসৃণ জয় সহজ হবে না। ত্রিমুখী লড়াইয়ে কার দিকে জনতার রায় – তানিয়েই চলছে আলোচনা। অবৈধ বালিখাদ, রাস্তাঘাট, সেচের জলের অভাব নিয়ে রয়েছে অভিযোগ।
রায়না: ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রটি প্রথমবারের জন্য পায় তৃণমূল। গত লোকসভা ভোটে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে রেকর্ড ভোট পেয়েছিলেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল। বর্তমানে তিনি আবার গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তবে তাতে কোনও প্রভাব পড়েনি বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। তৃণমূল এখানকার বিধায়ককে সরিয়ে গলসিতে প্রার্থী করেছে। নতুন মুখ এনেছে এখানে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া কে প্রার্থী করেছে ঘাস ফুল শিবির। পদ্ম শিবিরও এখানে শক্তি বাড়িয়েছে। বামেরাও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। রয়েছে বামেদের একাংশের গেরুয়া শিবিরকে সমর্থনের অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও। সেচের জলের সমস্যা, রাস্তাঘাট, দলীয় কোঁদল, বালি খাদান নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
জামালপুর: তৃণমূল ২০১১ সালে আসনটি দখল করলেও ২০১৬ তে ফের সিপিএমের কাছে হারে। লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য এগিয়ে তৃণমূল। গোষ্ঠী কোঁদলে উত্তপ্ত এই আসন পুনরুদ্ধারে গলসির বিধায়ককে এবার এখানে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। পদ্মফুল ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। বামেরাও আসনটি ধরে রাখতে জমি ছাড়ছে না এক ইঞ্চিও।
কালনা: ২০১১ থেকেই আসনটি তৃণমূলের দখলে। ২ বারের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু এবার পদ্মশিবিরের প্রার্থী। তাঁর লড়াই মূলত তৃণমূলের সঙ্গে। টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎকে তুলোধোনা করছে তৃণমূল। পাল্টা দিতে ছাড়ছেন না বিশ্বজিৎও। বিশ্বজিৎকে নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের চাপা ক্ষোভও রয়েছে। গতবারের বিজেপি প্রার্থী কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। পাশপাশি এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ। তার আচরণ নিয়ে জনমানসে কিছু ক্ষোভ থাকলেও কালনা শহরের উন্নয়নের নিরিখে পাল্লা ভারী তাঁরই। শেষমেষ আভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের জেরে এই আসন কি তৃণমূল দখলে রাখতে পারবে – এসবেরই উত্তর মিলবে ২ মে।