---Advertisement---

প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসার জন্য অসহায় দরিদ্র বাবা,মায়ের কাতর আবেদন

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমানের সদরঘাট ইডেন ক্যানেল বাঁধের ধারে গোঁসাই পাড়া এলাকায় ভাঙাচোরা এক কামরার ঘরে বসবাস করেন শম্ভু মজুমদার। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী কাকলি মজুমদার এবং একমাত্র পুত্র ২৮বছর বয়সী ছোট্টু। তিনজনের সংসার টানতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় কাকলি দেবীকে। তিনি অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। শম্ভু বাবুর একটি হাত নেই। এক দুর্ঘটনায় বাদ চলে যায়। কাকলি দেবীর সামান্য রোজগারই তিনজনের অন্নসংস্থানের একমাত্র ভরসা। এরই মধ্যে বাবা মায়ের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা তাঁদের একমাত্র সন্তান ছোট্টু কে নিয়ে।

বিজ্ঞাপন

 ছোট্টু একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। শম্ভু বাবু জানিয়েছেন, ছোট্টুর বয়স যখন ২বছর ছিল তখন তার মাথায় কুকুরে কামড়ে দেয়। তারপর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু তারপর থেকেই ছোট্টু আর কথা বলতে পারে না। এমনকি মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়ে। উচ্চতাও বাড়া বন্ধ হয়ে যায়। এখন ছোট্টুর বয়স ২৮। শম্ভু বাবু জানিয়েছেন, অনেকবার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ছেলেকে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, ছোট্টু আর ঠিক হবে না।

 স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বী ছেলেকে নিয়ে ত্রিপলের এক কামরা ঘরে কার্যত অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন দরিদ্র বাবা, মা। ঘরে আলোর ব্যবস্থাটুকুও নেই। শম্ভু মজুমদারের কাতর আবেদন, কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা বা কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি তাঁদের দিকে চোখ তুলে তাকান, এবং ছেলের চিকিৎসার জন্য পাশে এসে দাঁড়ান তাহলে তাঁরা খুবই  উপকৃত হবেন।

See also  মুসলিম যুবকদের উদ‍্যোগে হনুমান পুজো, ধর্ম নিরপেক্ষতার এক অনন্য নজির মেমারিতে
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---