ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কালনা: জল্পনা ছিলই এবার সরাসরি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে এবং ফের মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সরাসরি তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা হুমায়ুন কবীর। আর একদা বর্ধমানের পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত ড. হুমায়ুন কবীরের তৃণমূলে যোগদানের পরই শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চর্চা।
তিনি কি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন – এই প্রশ্ন নিয়েই শুরু হয়ে গেল তীব্র চাপান উতোর। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২১ জানুয়ারী থেকে ২০১২ সালের ৩০
জানুয়ারি পর্যন্ত ড. হুমায়ুন কবীর ছিলেন বর্ধমানের পুলিশ সুপার। তাঁর আগে অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব সামলিয়েছেন বেশ কয়েক বছর। সেই সময় সিপিএমের সঙ্গে দফায় দফায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বর্ধমানের রায়না। বোমা-বারুদের গন্ধে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রায়নার হিজলনা, বাঁধগাছা, জোতসাদি, কয়রাপুর, বেলসর এলাকা ছিল উত্তপ্ত। সেই হুমায়ুন কবীর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এবার খোদ পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে।
শোনা যাচ্ছে ড. হুমায়ুন কবীরকে বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থীও করা হতে পারে। কারণ এই বর্ধমান শহরেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি। এদিন কালনার বৈদ্যপুরে তৃণমূলের জনসভায় সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি কাজ করে আপ্লুত। বাইরের একটি শক্তি এখন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে। কিন্তু ফের তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে। তিনি সর্বতোভাবে দলের সঙ্গে থাকবেন।