প্রায় আড়াই বছর ধরে বর্ধমান জেলার ১৭ হাজার ছাত্রী কন্যাশ্রী-২ এর টাকা পাচ্ছে না

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: সার্ভার তথা সফটওয়্যারের সমস্যার জেরে গত প্রায় আড়াই বছর ধরে গোটা রাজ্যের প্রায় লাখখানেক ছাত্রী কন্যাশ্রী -২ এর টাকা পাচ্ছেন না। ফলে রীতিমত সমস্যায় পড়েছেন ওই সমস্ত ছাত্রীরা। এরই মাঝে বহু ছাত্রী তাঁদের পড়াশোনা ছেড়েও দিয়েছেন। ফলে তাঁরাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এরই পাশাপাশি সমস্যায় পড়ছেন কন্যাশ্রী প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা অফিসার – কর্মীরাও। তাঁরাও ছাত্রীদের প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে কার্যতই দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। জানা গেছে, গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও প্রায় ১৭ হাজার ছাত্রী এই সমস্যায় পড়েছেন।

 প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ সাল থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়েছে। যা চলছে এখনও। জানা গেছে, পুরনো পদ্ধতির পরিবর্তে কন্যাশ্রী প্রকল্পে নতুন সফটওয়্যার চালু হয়েছে। আর বিপত্তি দেখা দিয়েছে সেখানেই। সাধারণত, সংশ্লিষ্ট স্কুল থেকে ছাত্রীদের এই কন্যাশ্রী ফর্ম পূরণ করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেলায়। জেলা থেকে তা নির্ধারিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে চলে যায় রাজ্যে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে জেলা থেকে এই সমস্ত ছাত্রীদের আবেদন যথাযথভাবে পাঠানোর পর আবেদনকারীর স্ট্যাটাসে ‘সাংশন ফাইনালাইজড ‘ দেখাচ্ছে। কিন্তু পেমেণ্টের ক্ষেত্রে দেখাচ্ছে আবেদনকারীর বিল ‘জেনারেটেড’ হয়ে গেছে। অথচ বাস্তবে ছাত্রীদের একাউণ্টে কোনো টাকাই ঢুকছে না।

 জেলা কন্যাশ্রী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ সাল থেকেই তাঁরা এই সমস্যার কথা জানিয়ে আসছেন রাজ্য দপ্তরে। সেখান থেকেও দফায় দফায় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকি চলতি করোনা পরিস্থিতির মাঝেও ভিডিও কনফারেন্সে এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের বারবার আশ্বাসও মিলেছে। কিন্তু বাস্তবে এখনও সমস্যার কোনো সমাধানই হয়নি। সোমবারই বর্ধমান শহরের ভারতী বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই স্কুলের ৬০ জন ছাত্রীর এই সমস্যার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছে। জানা গেছে, প্রশাসনিকভাবে এই সমস্ত ছাত্রীদের আবেদনগুলিকে ‘রং ডাটা/ফরম্যাট ‘ হিসাবে দেখাচ্ছে। যদিও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, যেহেতু সামনেই বিধানসভা ভোট – তাই অনেকেই আশা করছেন ভোটের আগেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।