ফুটপাতে থাকা ভবঘুরেদের পিষে মারার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল বর্ধমান জেলা প্রশাসন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান শহরের ষ্টেশন মোড়ে রাত্রি প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ একটি চারচাকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতের পাশে ঘুমিয়ে থাকা দুই ভবঘুরেকে চাপা দিয়ে মেরে দেবার ঘটনার পর এবার নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ এই ঘটনায় ঘাতক গাড়ির খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেছে।
এদিকে ঘটনার দিন ষ্টেশন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের থাকা সিসিটিভি বন্ধ থাকায় সমস্যা আরও বেড়েছে। পুলিশ ষ্টেশন অভিমুখের অন্যান্য রাস্তা ও অন্যান্য দোকানের সামনে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি ঘটনার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে গাড়ির বিবরণ জেনে গাড়িটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা পুলিশ।
কিন্তু কেন পুলিশের সিসিটিভি বন্ধ ছিল – সে সম্পর্কে খোদ ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) শৌভিক পাত্র জানিয়েছেন, ঘটনাচক্রে ওইদিন সিসিটিভির ফিউজ কেটে যাওয়ায় সিসিটিভি বন্ধ হয়ে যায়। যদিও পরের দিনই বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা দ্রুত তা মেরামতও করে দেন। অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে তাঁরা অন্যান্য যে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছেন তা থেকে তাঁরা প্রাথমিক সিদ্ধান্তে এসেছেন জেলখানা মোড় থেকেই ওই চারচাকা গাড়িটি ষ্টেশনের দিকে এসেছিল। এব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ফুটপাতের ধারে শুয়ে থাকা দুই ভিখারী তথা ভবঘুরেকে চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমান জেলার নতুন জেলাশাসক মহম্মদ এনাউর রহমান জানিয়েছেন, তিনি সদ্য কাজে যোগ দিয়েছেন। বিষয়টি শোনার পরই এব্যাপারে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা পুরসভা ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার পরই ষ্টেশন, বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় কার্যত ফুটপাতের ধারে শুয়ে থাকা এই ভবঘুরেদের রাস্তার ধার থেকে সরিয়ে কিভাবে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়েই ইতিমধ্যেই আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ কেবলমাত্র বর্ধমান ষ্টেশন সংলগ্ন ওভারব্রীজ তথা ফ্লাইওভারের নিচে প্রায় ৫০জনেরও বেশি ভবঘুরে রাত্রি কাটান। ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে এখন তারই স্থায়ী সমাধানের রাস্তা বের করতে তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন।