ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানে বোমা উদ্ধার বুধবারও অব্যাহত থাকল। এদিন ভাতার থানার রাজীপুর ও এরুয়ার থেকে ৪০ টি বোমা ও প্রায় ৩ কেজি বোমা তৈরীর মশলা উদ্ধার করল পুলিশ। উল্লেখ্য দুদিন আগেই ভাতার ও মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ৭২টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছিল। ফের বুধবার একসঙ্গে এতগুলি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভাতারের এরুয়ার গ্রামের ভাষাপাড়া এলাকার একটি শ্মশানের কাছে শবযাত্রীদের জন্য তৈরী প্রতীক্ষালয়ে দুটি প্লাস্টিকের জারে একটি নাইলন ব্যাগে ১৮টি বোমা ও ৩ কেজি বোমা তৈরীর মশলা উদ্ধার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
বোমা থাকতে পারে সন্দেহে পুলিশ সকাল থেকেই এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। পরে বোম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা এসে সেগুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নষ্ট করে। উল্লেখ্য এই এরুয়ার গ্রামেই বাড়ি ভাতার বিধানসভার বিধায়ক মান গোবিন্দ অধিকারীর। একইভাবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভাতারের রাজিপুর থেকে পুলিশ একটি পুকুরের ধার থেকে ২২ টি বোমা উদ্ধার করে। বোম্ব স্কোয়াড সূত্রে জানা গেছে, এরুয়ারে উদ্ধার হওয়া ১৮ টি বোমা অনেক বেশী শক্তিশালি ছিল রাজীপুরে উদ্ধার হওয়া ২২টি বোমার থেকে। এক্ষেত্রে বারুদের অনেক বেশী ব্যবহার করা হয়েছিল এরুয়ারের উদ্ধার হওয়া বোমাগুলোতে।
এদিন বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বিধায়ক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য জুড়ে বোমা, বন্দুক, অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কে। জেলার পুলিশ সুপারও সমস্ত থানার অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনিও চাইছেন তার বিধানসভা এলাকা বোমা,বারুদ, গুলি, বন্দুক মুক্ত হোক। এমনকি এই সমস্ত বেআইনি জিনিস যাদের কাছে আছে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করুক পুলিশ। পুলিশ যে কাজ করছে ভালো কাজ করছে। এই কারবারে যারা জড়িত তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করলে আরও ভয় পাবে দুস্কৃতীরা।
যদিও গত কয়েকদিন ধরে পুলিশের এই লাগাতার বোমা, গুলি, বন্দুক উদ্ধার কে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। অনেকেই জানিয়েছেন, একের পর এক ভোট পর্ব মিটে গেলো। তখন এই সমস্ত বেআইনি জিনিস উদ্ধার করার কোনো প্রচেষ্টা পুলিশের দেখা যায়নি। আর মুখ্যমন্ত্রী বলার পরই হটাৎ করে যেখানে সেখানে বোমার ব্যাগ, জার উদ্ধার করছে পুলিশ। এসবেরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আসলে সবই সাজানো নাটক।