ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: পঞ্চম দফার ভোটের পর থেকেই যুযুধান দুপক্ষ তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ, মারপিট অব্যাহত রয়েছে। এরই পাশপাশি বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে বোমা। গতকাল তালিত গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে দেওয়ানদীঘি থানার পুলিশ একটি থলের মধ্যে পাঁচটি কৌটো বোমা উদ্ধার করে। সেই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। আর সোমবার সকালে বর্ধমান শহরের ৫নং ওয়ার্ডের দুবরাজদীঘি, হরেরডাঙ্গা এলাকায় একটি নির্মিয়মান বাড়ির ভিতর থেকে বারুদ ভর্তি একটি স্টিলের কৌটো পাওয়া যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা জেলা তৃণমূলের আইএনটিটিইউসির সভাপতি ইফতিকার আহমেদ পাপ্পু অভিযোগ করেছেন, বিজেপির দুস্কৃতিরা গোটা শহর জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের লোকজনের বাড়ির কাছে বোমা রেখে দিচ্ছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো এদিন। তিনি জানিয়েছেন, এদিন এলাকার একটি শিশু প্রথমে এই কৌটো নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল। তার দিদার নজরে পড়ায় তিনি কৌটোটি নিয়ে নেয় বাচ্চাটির হাত থেকে। কৌটোর বাইরে কালো টেপ জড়ানো ছিল। সেই টেপ খুলে কৌটোর ঢাকনা খুলতেই ওই ভদ্রমহিলা দেখেন কৌটোর ভিতরে বারুদ ভর্তি। তড়িঘড়ি তিনি ওই কৌটোটি বাড়ির বাইরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে এসে ফেলে দেন। এরপরই পাড়ার বাসিন্দারা তাকে খবর দেন।
পাপ্পু জানিয়েছেন, এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্যই বিজেপির দুষ্কৃতীরা ফাঁকা বাড়ির ভিতরে বোমা রেখেছিল। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই কাজ করেছে বিজেপির নেতা খোকন সেনের ছেলেরা। ওদের পরিকল্পনা ছিল বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ইফতিকার আহমেদের উপর দোষ চাপানো। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার কথা ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যামল রায় জানিয়েছেন, তারা অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন শুধু বর্ধমান দক্ষিণ নয়, গোটা বাংলার তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে কিম্বা বাড়ির আশপাশ ঠিকমত খুঁজলে বোমা পাওয়া যাবে। বিজেপি বোমা বারুদের তত্ত্বে বিশ্বাস করে না। তৃণমূলের নেতারা বুঝে গেছে বাংলায় তাদের দিন শেষ। তাই নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে বোমা রেখে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। এইসব মিথ্যা অভিযোগ মানুষ আর শুনবে না।