ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী। একটু একটু করে যাদের মাথা পাকছে। সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সরকার তথা প্রশাসন পরিচালনার পাঠ দিতে সম্প্রতি রাজ্য সরকার চালু করেছে ‘এক্সপোজার ভিজিট’ নামে একটি প্রকল্প। যে প্রকল্পে স্কুলের এই সমস্ত ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের সরাসরি প্রশাসনিক কাজ জানতে তাদের হাজির করা হচ্ছে খোদ প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে। প্রশাসনিক কর্তাদের কাছ থেকে তারা সরাসরি জেনে নিচ্ছে কিভাবে পরিচালিত হয় প্রশাসন, কিভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছায় সাধারণ মানুষের কাছে।
আর শুক্রবার সেই প্রকল্পের অধীনে কালনার ইছাপুর শ্রীগদাধর হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা হাজির হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদে। প্রায় ঘণ্টাখানেক তারা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডুর কাছ থেকে প্রথমে সংবিধান থেকে শুরু করে লোকসভা,বিধানসভা থেকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কি ভাবে পরিচালিত হয় শুনলো। জানলো সাধারণ মানুষ কিভাবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব কর্তব্যের কথাও।
ছাত্র ছাত্রীরাও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করল সহকারী সভাধিপতিকে। সহকারী সভাধিপতিও আপ্রাণ চেষ্টা করল ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে বলার এবং সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার। একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী রমা ঘোষ জানতে চাইল কি কি কাজ হয় জেলা পরিষদে। নবম শ্রেণীর ছাত্রী তনিমা রায়ের প্রশ্ন ছিল সহকারী সভাধিপতি হিসাবে কি কি দায়িত্ব দেবু টুডুকে পালন করতে হয়। ছাত্রী স্নিগ্ধা রায়ের প্রশ্ন ছিল জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে নিজের এলাকায় কি কি কাজ করেছেন সহকারী সভাধিপতি। সুপর্ণা দাস আবেদন করল তাদের স্কুল যাওয়ার রাস্তাটি খারাপ, সেটি দ্রুত ঠিক করা হোক। সর্বোপরি ছাত্রীদের মধ্যে থেকে ভবিষ্যতে সভাধিপতির পদ কি ভাবে অলংকৃত করা যাবে সেই বিষয়েও প্রশ্ন ওঠে আসে।
বস্তুত, প্রায় ১ ঘণ্টার এই এক্সপোজার ভিজিটে ছাত্রছাত্রীদের হরেক রকমের প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা চলল। অনুষ্ঠান শেষ ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, তারা অনেক কিছু জানতে পারল। অনেক কিছুই অজানা ছিল। অন্যদিকে, দেবু টুডু জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের মনে যে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন ছিল তার উত্তর দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছেন এতেই খুশী তিনি। একজন ছাত্রীর কৌতূহলী জিজ্ঞাসা ছিল কয়েকদিন আগে সে সংবাদ মাধ্যমে দেখেছে সহকারী সভাধিপতিকে হাতে হাত ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে। কেন এভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি?
দেবু টুডু এদিন জানিয়েছেন, এই ধরণের প্রশ্ন শুনে তাঁর সত্যিই ভাল লেগেছে। ছাত্রছাত্রীরা যে প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে এটা ভাল লক্ষণ। আগামী দিনে এরাই সচেতন নাগরিক হিসাবে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার কাজ করবে।