ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমানের উল্লাস মোড়ে শনিবার ভোরে একের পর এক গাড়ির সংঘর্ষে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ২নং জাতীয় সড়ক। কলকাতা ও দুর্গাপুর যাওয়ার দুদিকের রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে প্রায় ঘন্টা দুয়েক সমস্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় সমস্ত যানবাহন। পরে তিনটি ক্রেন এনে দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি গুলিকে সরিয়ে রাস্তায় যানচলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোরে একটি ডাম্পার আচমকাই জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে পড়লে দ্রুত গতিতে আসা পিছনে থাকা একটি বারো চাকার কন্টেনার সজোরে ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারে। তার পিছনে আরও একটি পাথর বোঝই ডাম্পার এসে ধাক্কা মারে। পরপর তিনটি গাড়ির ধাক্কায় বর্ধমান থানার উল্লাস মোড় এলাকায় জাতীয় সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় একেবারে পিছনে থাকা ডাম্পারের চালকের কেবিনটি ভিতরে ঢুকে যায়। প্রায় ঘন্টা দেড়েকের চেষ্টায় ক্রেন ও গ্যাস কাটার মেশিন এনে ওই গাড়ির চালক কে বের করে আনে পুলিশ। তিনটি গাড়ির চালককেই পুলিশ উদ্ধার করে অনাময় হাসপাতালে ভর্তি করায়। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২নং জাতীয় সড়কের মধ্যে থাকা বর্ধমানের উল্লাস মোড়ের এই জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। অথচ এখানে কোনভাবেই ট্রাফিক সিগন্যালের চালনা নিয়ম মেনে করা হয়না। এই ট্রাফিক পোস্টের সিগন্যাল ম্যানুয়াল হওয়ায় কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়াররা নিজেদের মতন করে যখন ইচ্ছা সিগন্যাল অপারেট করেন। অথচ ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা পুলিশরা এই বিষয়টা নিয়ে একেবারেই উদাসীন।
এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসপি (ট্রাফিক) রাকেশ চৌধুরী বলেন, ‘ এই দুর্ঘটনায় কেউ মারা যায়নি। আর সিগন্যালের বিষয়ে কিছু বলার থাকলে অফিসে এসে কথা বলতে হবে।’ স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই বলেন,” যে ধরনের দুর্ঘটনা এদিন ঘটেছে তাতে ভোর বেলায় এই ঘটনা না ঘটে দিনের অন্য সময় ঘটলে বড় ধরনের বিপদ ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ট্র্যাফিক সিগন্যালের ব্যাপারটা অবিলম্বে গুরুত্ব দিয়ে পুলিশের ভাবা উচিত।”