বর্ধমানের কাঞ্চননগর এলাকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, ফের বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ, পুড়ল বাইক, ভাঙচুর পার্টি অফিস, উত্তেজনা

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: রবিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমানের কাঞ্চননগর রথতলার একাধিক এলাকা। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল কাঞ্চননগরের রথতলা, বকুলতলা, বেলপুকুর, নুনগোলা, পোদ্দারপাড়া প্রভৃতি এলাকা। জানা গেছে, এদিন দুপুরে লক্ষ্মীপুর মাঠে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের জের হিসাবেই এদিন কাঞ্চননগর এলাকায় এই সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়েই উভয়ের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে। 

বিজ্ঞাপন

তৃণমূলের অভিযোগ, এদিন দুপুরবেলায় বেলপুকুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের ৪টি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় বিজেপি সমর্থকরা। পাল্টা তৃণমূল সমর্থকরা বকুলতলা এলাকায় এক বিজেপি সমর্থক বাইক নিয়ে যাবার সময় তাঁকে বেধড়ক মারধর করার পর তাঁর বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ তার পায়ে টাঙ্গির কোপ মারা হয়। পাশাপাশি এদিনই এই এলাকাগুলিতে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর, দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। 

পাল্টা বিজেপির অভিযোগ, এদিন লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঞ্চননগর রথতলা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা ২৩ ও ২৪ নং ওয়ার্ডের বিজেপি কার্যকর্তাদের বাড়ি বাড়ি ব্যাপক হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় একাধিক বাড়ি। এদিকে, এই হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, রাফ। এদিন এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি সমর্থকদের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেছে। গোটা এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ।

বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী খোকন দাসের বাড়ির সামনে প্রচুর জমায়েত থাকায় এদিন পুলিশ লাঠিচার্জ করে জমায়েত সরিয়ে দেয়। এদিকে বর্ধমানের একের পর এক এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় গোটা শহর জুড়ে তীব্র আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, নতুন করে শহরের নিলপুর এলাকায় এদিন রাতে প্রচুর পুলিশ এবং রাফ মোতায়েন করার ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরী হয়েছে। যদিও কি কারণে এই ব্যবস্থা তা জানা যায়নি।

আরো পড়ুন