ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান শহরের হৃদপিন্ড খোসবাগান এলাকার শ্যামসায়রের পারে অবস্থিত বিনোদন পার্ক কে জঞ্জাল মুক্ত করে অবশেষে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হল বুধবার। উল্লেখ্য গত প্রায় তিন বছর বর্ধমান পৌরসভায় কোনো নির্বাচিত বোর্ড না থাকার সুযোগে এই এলাকা কার্যত দুষ্কৃতিদের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। পার্ককে ঘিরে যত্রতত্র আগাছার জঙ্গলে ভরে উঠেছিল। আর তারই মধ্যে এই অরক্ষিত পার্ক কে রীতিমত মদ,গাঁজা সহ অসামাজিক কাজকর্মের সুরক্ষিত ঠেকে পরিণত করে শহরেরই কিছু বকাটে যুবক যুবতী। ফলে ধীরে ধীরে শিশু থেকে বৃদ্ধদের এই পার্কে সময় কাটাতে আসার অভ্যাসও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সকাল থেকে তো বটেই, সন্ধ্যার পর এই পার্ক কার্যত চলে যেত দুস্কৃতিদের দখলে। আতংক বাড়ছিল এলাকার মানুষদের মধ্যে। বিশেষত, বর্ধমান শহরের এই খোসবাগান এলাকা যা ডাক্তার পাড়া হিসাবেই চিহ্নিত। রয়েছে অভিজাত পরিবারের বসবাস, তাঁরা কার্যত মুখ ফিরিয়ে নেন এই উদ্যান থেকে।
উল্লেখ্য, প্রায় তিনবছর বর্ধমান পুরসভায় কোনো বোর্ড নেই। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে প্রশাসক নিয়ে কাজ। ফলে আগ বাড়িয়ে কেউই এব্যাপারে এগিয়ে যেতে চাইছেন না। কারণ এই অসামাজিক কার্যকলাপ রোধ করতে গেলে রাজনৈতিক বিদ্বেষ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি প্রতিবাদ করলে দুস্কৃতিদের হামলার আশঙ্কাও করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে সবমিলিয়ে কার্যত হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন তৃণমূলের নেতারাও। যদিও এব্যাপারে ৩০নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা তথা সমাজসেবী অজিত খাঁ জানিয়েছেন, তাঁর কাছেও খবর এসেছে এই পার্কের অসামাজিক কাজকর্ম নিয়ে। আর তারপরই তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন পার্কের আগাছা, জঙ্গল সাফ করে, নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ফের এই পার্ককে শিশুদের বিচরণ ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়ার। এমনকি এই উদ্যানকে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত করে তোলার।
তিনি জানিয়েছেন, তিনি এই পার্ককে গত দুবছর আগে সাজিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ফের নোংরা, আবর্জনা, জঙ্গলে পূর্ণ হয়ে গেছে। নেশারুদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে এই পার্ক। সাধারণ মানুষ থেকে শিশুরা আর এই পার্কে আসতে চায় না। তাই এই অব্যবস্থাকে বন্ধ করে ফের এই পার্কের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় এই পার্ককে ফের নতুন করে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এই পার্ক কে ফের সকলের ভ্রমণের জন্য করে উপযোগী করে তোলা হবে।