ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের পুরনো রেলওয়ে ওভারব্রীজকে ভেঙে ফেলার পাশাপাশি তার পাশেই একটি ফুটব্রীজ করার জন্য রেলের কাছে আবেদন জানালো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। সোমবার বর্ধমানের নতুন রেলওয়ে ওভারব্রীজের হস্তান্তর নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকেই নতুন ওভারব্রীজ হস্তান্তর নিয়ে জমি সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে আগামী ২৭ মার্চ হস্তান্তর করার জন্য প্রাথমিক লক্ষ্যও নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, এদিন এই বৈঠকে রেলের প্রতিনিধি সহ ওভারব্রীজ নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন। নতুন রেলওয়ে ওভারব্রীজের এপ্রোচ রোড নিয়ে সামান্য কিছু জমি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। এই সময়কালের মধ্যে তা মিটিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এপ্রোচ রোডের কিছু অংশ যেমন রেলের অধীনে রয়েছে, তেমনি কিছু অংশ আবার রাজ্য সরকারের অধীনে রয়েছে। তাই প্রয়োজন বোধে জমি হস্তান্তর করে সমস্যা মেটানোর প্রস্তাব গৃহিত হয়েছে এদিন।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, নতুন রেলওয়ে ওভারব্রীজ তৈরীর পর পর্যবেক্ষণের জন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা নির্ধারিত ছিল। সেই মেয়াদ শেষ হবার আগে ২৭ মার্চ ওভারব্রীজ পূর্ত দপ্তরের হাতে সঁপে দেবার জন্য এদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এরই পাশাপাশি পুরনো রেলওয়ে ওভারব্রীজ যা বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে রেল দপ্তর তা ভেঙে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তারই পাশাপাশি এই পুরনো রেলওয়ে ওভারব্রীজের পাশেই ন্যূনতম ৭ থেকে ৮ ফুট চওড়া একটি ফুটব্রীজ এবং তা দিয়ে সর্বোচ্চ থ্রিহুইলার তথা কম ভারী গাড়ি যাতায়াত করতে পারে তার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
রেল দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে রেলের কাছে নিয়ম মেনে আবেদন করলে রেল তা খতিয়ে দেখবে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রেলের ফ্রেট করিডর নির্মাণে বর্ধমান ষ্টেশনের পুরনো প্রায় ৫টি ভবন ভাঙা পড়তে পারে বলে জানা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই রেলের প্ল্যাটফর্ম এবং বিশেষত ১নং প্ল্যাটফর্মেরও এব্যাপারে পরিবর্তন হতে চলেছে। ফলে কিভাবে এই নয়া ফুটব্রীজ তৈরী হবে তা নিয়ে রীতিমত বিতর্কও দেখা দিয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে রেলের কাছে নিয়মমাফিক আবেদন জানানো হবে।