ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: প্রাক-প্রাথমিকের ইংরেজি পাঠ্য বইয়ে ইউ(U) অক্ষর সম্পর্কে পড়ুয়াদের পরিচিত করতে আগলি শব্দ লেখা হয়েছে। কিন্তু আগলি অর্থাৎ বাংলা ভাষায় কুৎসিত শব্দের অর্থ বোঝাতে গিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ছবি দেওয়া হয়েছে।যার পাশে বাংলায় লেখা হয়েছে কুৎসিত। আর তাই নিয়েই তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। বর্ধমানের নামি স্কুল বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক বিভাগে ওই পাঠ্যবই পড়ানো হচ্ছে বলে অভিভাবকদের একাংশ দাবি করেছেন। পাশাপাশি এই বই বাতিলের দাবিতে রীতিমত সোচ্চার হয়েছেন অভিভাবকরা। কারণ এই ধরণের পাঠ শিশুমনে কুপ্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বিজ্ঞাপন
শহরের রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজের অধ্যাপক সুদীপ মজুমদারের মেয়ে ওই স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের ছাত্রী। সুদীপবাবু বলেন, ‘মেয়েকে পড়াতে গিয়ে দেখি এইসব শেখানো হচ্ছে।’ সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি পূর্ব বর্ধমান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রাথমিক স্বপনকুমার দত্তকে জানান। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক স্কুলের সঙ্গে কথা বলে বইটি বাতিল করা হবে বলে তাঁকে জানিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তীব্র নিন্দা করেছেন। এদিনই কলকাতা থেকে সরাসরি এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবনী মল্লিক এবং প্রাক প্রাথমিকের টিচার ইন চার্জ বর্ণালী রায় কে সাসপেন্ড করেছেন। এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবনী মল্লিক জানিয়েছেন, প্রাক প্রাথমিকের একটি বইয়ে কুরুচিকর ইঙ্গিত রয়েছে জানতে পাড়ার পর দ্রুত এই বইটিকে বাতিল করা হয়েছে। যদিও তাঁকে বরখাস্ত করার বিষয়ে তিনি এখন কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বইটি সরকারী কোনো পাঠ্য পুস্তক নয়। স্কুল কতৃপক্ষ নিজেদের উদ্যোগে রেফারেন্স বুক হিসাবে চালু করেছিলো। সেই বইয়েতেই রয়েছে বর্ণবিদ্বেষ মূলক ছবি, যা দেখিয়েই পড়ানো হচ্ছিলো শিশুদের, বলে অভিযোগ ওঠে। U ফর UGLY বোঝাতে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মুখের ছবি দেওয়া আছে। বাংলায় লেখা রয়েছে কুৎসিৎ। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। যে প্রকাশক সংস্থা এই বই প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধেও কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তার ভাবনাচিন্তা চলছে। এই বইটি রাজ্যের কোথাও যাতে পড়ানো না হয় সে বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।