ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: আর কয়েকদিন পরেই কালীপুজোয় মাতবেন গোটা বাংলা। আর তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বর্ধমান শহরের ভাতছালা পাড়ার পাল পরিবারেও। প্রায় ১০০ বছর আগে শুরু হওয়া বর্ধমান শহরের ভাতছালা এলাকায় পাঁচু পালের কালীপুজোই এখন ওই বংশের বর্তমান বংশধরদের কাছে পিসির পুজো বলে খ্যাত হয়ে উঠেছে। পালবংশের বর্তমান বংশধর মিঠুন পাল জানিয়েছেন, তাঁর ঠাকুর্দা পাঁচুগোপাল পাল এই পুজোর শুরু করেন।
নিয়মানুসারে দেবীর এই পুজোয় বাড়ির মহিলারা ফল কাটতে পারেন না। পুরুষরাই সব করেন। পাঁচুবাবুর আমল থেকেই এই পুজো উপলক্ষ্যে বসছে সানাই। পুজোর নৈবেদ্যতে খাজা ও কদমা দেওয়ার রীতি চলে আসছে। প্রতিবছর দেবীর মূর্তি তৈরী হয়। সেই মূর্তিতে দেবীর মাথায় চুর্নী (ওড়না) দেওয়া হয় পরম্পরা মেনে। ভাইফোঁটা না পেরোলে পাল বংশের এই বামা কালীর বিসর্জন হয়না। ভাইফোঁটার দিন পুরোহিত চন্দনের ফোঁটা দেন দেবীর প্রতিনিধি বোন হিসা
ভাইফোঁটার পরের দিন বাড়ির মহিলারা লালপাড় সাদা শাড়ি পরে দেবীকে বরণ করেন, সিঁদুর খেলা হয় প্রথা মেনে। পরিবারেরই কালীপুকুরে বিসর্জন করা হয় কালিরূপী মেয়েকে। এছাড়াও কালীপুজোর দিন থেকে অষ্টম দিনের দিন পালিত হয় অষ্টমঙ্গলা। সেদিন দেবীকে বেণারসী শাড়ি পরিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। অষ্টমঙ্গলার সমস্ত রীতি পালন করা হয়। মিঠুন পালরা জানিয়েছেন, তাঁরা দেবীকে পিসি হিসাবেই দেখেন। ভাল মন্দ সবকিছুতেই তাঁরা পিসি হিসাবেই ডাকেন দেবীকে।