বর্ধমানের রায়না-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের আত্মহত্যা, চাঞ্চল্য

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, রায়না: পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়েই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন খোদ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মৃত পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের নাম গোলাম মোস্তাফা চৌধুরী ওরফে মিঠু (৪০)। তিনি পেশায় আইনজীবী ছিলেন। বর্ধমান আদালতে নিয়মিত যাতায়াতও ছিল তাঁর।

তাঁর বাড়ি সেহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের আউসারা গ্রামে। যদিও কি কারণে তিনি এই আত্মহত্যা করেছেন তা নিয়ে এদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। বর্ধমান জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, তিনিও ঘটনার কথা শুনেছেন। কি কারণে এই ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রায়না থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

পঞ্চায়েত সমিতির কাজের জন্য নাকি অন্য কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা এদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত সঠিক ভাবে কিছু জানা যায়নি। উত্তমবাবু জানিয়েছেন, এদিন বিকালে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রুমের বাইরের বারান্দায় মিঠুবাবু কে একটি সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, এদিন সকালে নিজের মোটকবাইকে একটি দুর্ঘটনা ঘটে তাঁর। শরীরের বেশ কিছু জায়গায় তাঁর আঘাত লাগে। এদিন বিকালে দলীয় একটি কর্মী সভায় যোগ দেবার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি সেখানে না গিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে আসেন এবং সেখানেই বারান্দায় নাইলনের দড়ির ফাঁসে তিনি আত্মঘাতি হন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই মানষিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর একটি ছেলে ও একটি মেয়ে এবং স্ত্রী রয়েছে।

এদিকে মিঠু বাবুর পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল না বলেই তাঁর ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন। এদিকে, এই ঘটনা শোনার পরই পুলিশ আধিকারিক সহ রায়নার বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই, বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক (দক্ষিণ) ঘটনাস্থলে হাজির হন। মিঠু চৌধুরী বিধায়ক প্রতিনিধিও ছিলেন বলে জানা গেছে। তাঁর এই মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের নির্দেশে রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও ব্যাপক হারে রাস্তার কাজে নেমেছে জেলা প্রশাসন এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েত। সম্প্রতি বর্ধমান জেলা পরিষদে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কয়েকদফায় আলোচনাও হয়। পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে নিজ নিজ এলাকার রাস্তার পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দিতেও বলা হয়। স্বাভাবিকভাবেই যখন করোনা ও আমফান পরিস্থিতির পর গ্রামীণ উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে এবং বিশেষ করে গ্রামীণ রাস্তার ব্যাপক উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে সেই সময় মোস্তাফা চৌধুরীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

আরো পড়ুন