বর্ধমানের রেনেসাঁ টাউনশীপে পরপর দুটি বাংলোর দরজা,জানলা ভেঙে চুরির চেষ্টা, আতঙ্ক

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের রেনেসাঁ টাউনশীপের ভিতর পরপর দুটি বাংলোর জানলা, দরজা ভেঙে চুরির চেষ্টা করাকে কেন্দ্র করে টাউনশীপের বাসিন্দাদের মধ্যে সোমবার ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল। যদিও ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতের দিকে বলেই স্থানীয়দের অনুমান। এদিন দুপুরে এই দুটি বাংলোর একটির মালিক তাঁর এক পরিচিত ব্যক্তিকে কে বাংলোর সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা দেখার জন্য পাঠালে সেই ব্যক্তিরই প্রথমে নজরে আসে বাংলোর জানলার কাঁচ ভাঙ্গা। পরে তিনিই লক্ষ্য করেন পাশের বাংলোরও দরজা ভাঙা রয়েছে। এরপরই ওই ব্যক্তি তাঁর বন্ধু যিনি বাংলোর মালিক মিঃ পাঁজা কে ফোন করে গোটা বিষয়টা জানান। খবর দেওয়া হয় রেনেসাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের অফিসে। তারা এসে বর্ধমান থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

রেনেসাঁর ফেজ-২ এর ইনার রিং রোড-৬ লেনে পাশপাশি দুটি বাংলো রয়েছে। তার মধ্যে একটি বাংলোর মালিকের নাম প্রশান্ত চক্রবর্তী। তিনি প্রাক্তন সেনা কর্মী। বর্তমানে জীবন বীমা সংস্থার এজেন্সির কাজ করেন। তাঁর এই বাংলোটি ভাড়ায় দিয়ে দেওয়া থাকে। কয়েকদিন যাবৎ ভাড়াটিয়া উঠে যাওয়ায় নতুন ভাড়াটিয়া আসবে বলে বাংলোয় রঙের কাজ চলছিল। গতকালও মিস্ত্রীরা রং এর কাজ করেছে বলে প্রতিবেশীদের কাছে জানা গেছে। তবে এদিন কোনো রং মিস্ত্রি সকাল থেকেই কাজে আসেনি বলেও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। অন্য বাংলোর মালিক হলেন মিঃ পাঁজা। তিনিও কর্মসূত্রে মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুরে আছেন। তবে তাঁর ভাই এই বাংলোয় বসবাস করেন। কিন্তু তিনিও গত কয়েকদিন অসুস্থতার দরুন চিকিৎসার জন্য নার্সিংহোমে ভর্তি আছেন।

সোমবার দুপুরে মিঃ পাঁজার এক বন্ধু বাংলোর অবস্থা দেখতে এসে তাঁরই প্রথম নজরে আসে বাংলোর কাঁচের জানলা ভাঙ্গা রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় বাংলোর চারদিক দেখতে গিয়ে তার নজরে আসে ঘরের ভিতরে জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করা হয়েছে। দরজার সামনে গ্রীলকেও ভাঙ্গার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও মিঃ পাঁজার বন্ধু পুলিশ এবং স্থানীয়দের জানিয়েছেন, বিশেষ কিছু ঘরে না পাওয়ায় প্রাথমিক অনুমান কিছু চুরি যায়নি। যদিও তিনি মিঃ পাঁজার বাংলো ঘুরে দেখতে গিয়ে তাঁর নজরে আসে পাশে প্রশান্ত চক্রবর্তীর বাংলোর গ্রিল এবং দরজা ভাঙা রয়েছে। এরপরই তিনি বুঝতে পারেন দুটি বাংলোতেই চুরির চেষ্টা করা হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই তড়িঘড়ি এই ঘটনার খবর মিঃ পাঁজাকে ফোনে জানিয়ে দেন তাঁর বন্ধু। এরপর রেনেসাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের খবর দেওয়া হয়। পরে বর্ধমান থানা থেকে পুলিশ চলে আসে ঘটনাস্থলে। কে বা কারা এই চুরির চেষ্টা চালিয়েছে সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। অন্যদিকে অভিজাত এই টাউনশীপের ভিতর রাতের অন্ধকারে পরপর দুটি বাংলোয় দুঃসাহসিক চুরির চেষ্টার ঘটনা ঘটনায় রেনেসাঁ টাউনশীপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই জানিয়েছেন, রাতে নিরাপত্তারক্ষীরা গোটা এলাকায় টহল দেয় বলেই তাঁদের জানা আছে। কিন্তু দুস্কৃতিরা যেভাবে দুটি বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে দরজা জানালা ভেঙে চুরির চেষ্টা চালিয়েছে, তাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আশংকা আরো বাড়ল।