ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: গত মার্চ মাস থেকে গুটি গুটি পায়ে করোনার অনুপ্রবেশ ঘটেছিল। যতদিন যাচ্ছে করোনার তাণ্ডব ততই ভয়ংকর ও বিস্তৃত হয়ে চলেছে। বিশেষ করে গোটা দেশ জুড়ে প্রথম লকডাউন ঘোষণা এবং সেই লকডাউনের সময়কালে বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার যে ঢল নেমেছিল শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে – সেই সমস্ত শ্রমিকদের নিরাপদে হয় বাড়ি নাহয় তাঁদের বিভিন্ন কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টারে পাঠানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ এবং পুলিশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ সিভিক ভলেণ্টিয়াররা।
বিশেষ করে বর্ধমান ষ্টেশন এলাকায় সেই সময়কালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪ ঘণ্টা কাজ করার জন্য করোনা যোদ্ধা হিসাবে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ১৫জন সিভিক ভলেণ্টিয়ারকে শুত্রুবার আর্থিক পুরষ্কারে পুরষ্কৃত করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। এদিন বর্ধমানের গোলাপবাগ ফাঁড়িতে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সৌভিক পাত্র, ডিএসপি ট্রাফিক কায়ূম আনসারী, গোলাপবাগ ফাঁড়ির ট্রাফিক ওসি সুদীপ্ত নন্দী সহ অন্যান্যরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সিভিক ভলেণ্টিয়ার যারা পুলিশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তাদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। তাদের জন্যই শতশত পরিযায়ী শ্রমিক নিরাপদে নিজেদের বাড়ি পৌঁছেছে। তিনি জানিয়েছেন, এই ১৫ জন সিভিক ভলান্টিয়ার করোনা পরিস্থিতিতে বর্ধমান স্টেশন চত্বরে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অসাধারণ কাজ করেছেন। তাই তাদের মনোবল ও কাজের ইচ্ছা বাড়াতেই এই আর্থিক সম্মান প্রদান করা হল। একইসঙ্গে অন্য যে সমস্ত সিভিক ভলেণ্টিয়ার রয়েছেন তাঁরাও নতুন করে কাজের উৎসাহ পাবেন।
তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের ওই সময়ে প্রায় ১৫০ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বর্ধমান ষ্টেশনে ঢুকেছে। এই ট্রেনগুলি থেকে নামা শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁদের নিরাপদে পৌঁছে দেবার কাজে এই সিভিক ভলেণ্টিয়াররা পুলিশের অন্যান্য কর্মী আধিকারিকদের সঙ্গে লাগাতার দিনরাত কাজ করেছেন। আর তাই এই পুরষ্কারের মধ্যে দিয়ে তাদের সম্মান জানানো হল।