বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান অনাময় হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় উত্তম দে নামে এক বেসরকারী নিরাপত্তারক্ষী মারা যাওয়ায় তাঁর দাদাকে চাকরী দেবার দাবীতে খোদ মন্ত্রীর সামনে ক্ষোভ উগরে দিলো পরিবারের সদস্য সহ তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। আর এই ঘটনায় এদিন বিকেলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমানে। করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একসঙ্গে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়ে মন্ত্রীর সামনে চলে আসায় রীতিমত মেজাজ হারান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। যদিও গোটা বিষয়টি তাকে জানানোর জন্য বলা হয়।
এদিকে এই একই ঘটনায় এদিন সকালে অনাময় হাসপাতালের ভেতর ঢুকে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মী সহ মৃতের পরিবারের সদস্যরা। করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে খোদ হাসপাতালের ভেতর ঢুকে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শাসকদলের দায়িত্বজ্ঞানহীন এই কান্ড নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা।
মৃত উত্তম দে শহরের ৫নং ওয়ার্ডের বাজেপ্রতাপপুর এলাকার বাসিন্দা বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তাঁর আত্মীয় ঝর্ণা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,
উত্তম দে বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গত দুবছর ধরে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত অবস্থায় গত ২৫ মার্চ তিনি আচমকা মারা যান। মারা যাবার পর তাঁর পারলৌকিক কাজকর্ম করে উত্তমবাবুর ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে তাঁরা যখন হাসপাতালে আসেন তখন তাঁরা জানতে পারেন উত্তমবাবুর জায়গায় অন্য একজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাঁরা চমকে যান।
বিষয়টি তাঁরা তৃণমূলের আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদকে জানান। জানান তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক খোকন দাসকেও। এরপরই এদিন বেলায় তাঁরা ওই নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগকারী সংস্থার সুপারভাইজারের কাছে যান। তাঁরা জানতে পারেন এই নয়া নিয়োগ করা হয়েছে টাকার বিনিময়ে। এই ঘটনায় বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিকের বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ করেন।
এরপরই বিক্ষোভকারী সকলে চলে আসেন বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চের সামনে। সেখানে তখন ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের রিভিউ মিটিং চলছিল। সেই মিটিংয়ে হাজির ছিলেন বিধায়ক নিশীথ মালিক এবং রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও। বিক্ষোভকারীরা নিশীথ মালিককে ঘেরাও করার প্রস্তুতিও নেয়। খবর পেয়ে অশান্তি এড়াতে পুলিশ গোপনে নিশীথবাবুকে মিটিং স্থল থেকে বার করে নিয়ে যান। এরপরই তৃণমূল সমর্থকরা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে ঘিরে গোটা বিষয়টি জানাতে গেলে রীতিমত ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন স্বপনবাবু।
যদিও এই সমস্ত ঘটনা প্রসঙ্গে খোদ বিধায়ক নিশীথ মালিক জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁর কিছুই জানা নেই। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছেন তারা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত। এই অভিযোগের নূন্যতম সত্যতা নেই।