বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান শহরের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ার একটি অনুষ্ঠান বাড়ির সামনে রাস্তার উপর লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বৃহস্পতিবার সকালে। এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আকবর হোসেন, সেখ পিন্টু সহ অন্যান্যরা অভিযোগ করেছেন, অনুষ্ঠান বাড়ির মালিক পক্ষ জেনেশুনেই এই লঙ্কা গুঁড়ো রাস্তায় ছড়িয়ে দিয়েছে।
তাঁরা জানিয়েছেন, রাস্তার কুকুরেরা প্রায় এই অনুষ্ঠান বাড়ির সামনে মলত্যাগ করে রাখে। পাড়ার ছোট ছেলে মেয়েরা এই বাড়ির সামনে রাস্তার উপর খেলাধুলো করে – এই সব বাড়ির মালিকের পছন্দ নয়। তাই এই সমস্ত বন্ধ করতেই সর্বসাধারণের যাতায়াতের রাস্তার উপর লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অনুষ্ঠান বাড়ির নির্দিষ্ট জায়গা ঘেরা থাকা সত্ত্বেও ওই বাড়ির সামনে সকলের জন্য চলাচলের রাস্তায় লঙ্কা গুঁড়ো ফেলে রাখায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তাঁদের অভিযোগ, লঙ্কা গুঁড়ো থেকে শুধু কুকুরই নয় সাধারণ মানুষেরও ক্ষতি হতে পারতো। জেনেশুনে এই ভাবে অবলা প্রাণীদের ক্ষতি সাধন করার অধিকার কারুর নেই। তাই এদিন পাড়ার সকলে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সকালে কয়েকজন ছোট ছেলে মেয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাবার সময় নাকে লঙ্কা গুঁড়ো উড়ে ঢুকে যায়। তাদের হাঁচি, কাশি শুরু হয়। স্থানীয় কয়েকজনের সন্দেহ হওয়ায় বাচ্চা দের জানতে পারে লঙ্কা গুঁড়োর বিষয়টি। আর এরপরেই স্থানীয় মানুষ একজোট হয়ে এই অবৈধ কাজের প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি বর্ধমান থানায় খবর দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী সৈয়দ আকবর হোসেন জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠান বাড়ির মালিকের সঙ্গে পাড়ার অনেকেরই সুসম্পর্ক নেই। তিনি বিদেশে থাকেন। সম্প্রতি আমেরিকা থেকে ফিরেছেন। আকবর বাবুর অভিযোগ, এই বাড়ির মালিক কে নিয়ে এখন আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। কারণ আমেরিকা থেকে ফিরলেও করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত পরীক্ষা আদৌ তিনি করিয়েছেন কিনা সেটা কারুর জানা নেই। এই নিয়েও আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
ডিএসপি সৌভিক পাত্র জানিয়েছেন, ‘পুলিশ খবর পাবার পরেই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছে। বাড়ির লোকেরা পুলিশ কে জানিয়েছে যিনি আমেরিকা থেকে ফিরেছে তিনি এয়ারপোর্টে চেক করিয়েই তবে এসেছেন। তবুও পুলিশ আরও নিশ্চিত হতে বিদেশ থেকে আসা সেই ব্যক্তি সহ পরিবারের লোকেদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করে আসার জন্য অনুরোধ করেছে। পরে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি টিম এসে সবাইকে পরীক্ষা করে দেখেও গিয়েছে। যিনি বিদেশ থেকে ফিরেছেন তাঁকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।