এদিন সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিগত নির্বাচনগুলি থেকে প্রাপ্ত তাঁদের অভিজ্ঞতা এদিন অজয় নায়েককে জানিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তিন দফা নির্বাচনের পর বাকি ৫ দফার নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা নির্বাচন কমিশনের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, যেখানে খোদ সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার নির্দেশ দেওয়ায় তাঁরা মনে করছেন কখনই রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বাতাবরণ থাকছে না। তাই এব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কোনো সরকারী আমলারা যেন পক্ষপাতমূলক আচরণ না করে সে ব্যাপারেও আবেদন জানানো হয়েছে।
অপূর্ববাবু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, তাঁর বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে সেক্টর অফিসারদের ওপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এদিন অবজারভারকে জানানো হয়েছে ভোটদানে বাধা, হুমকি দেওয়া, বাড়ি থেকে বের হতে না দেওয়া প্রভৃতি ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি ঘটে সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখার কথা বলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি প্রতিটি বুথে যে সাইকেল ম্যাসেঞ্জার নিয়োগ করা হয় তা যেন সংশ্লিষ্ট বুথের না হয় সে ব্যাপারেও কড়া পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। কারণ এই সাইকেল ম্যাসেঞ্জাররাই রাজনৈতিক দলের বার্তাবহকের কাজ করেন। এমনকি এবারেও যাঁরা মাস্ক, স্যানিটাইজার প্রভৃতি বুথে বুথে সরবরাহ করবেন তাঁরাও যেন সংশ্লিষ্ট বুথ এলাকার বাসিন্দা না হন তাও দেখতে বলা হয়েছে।
অপূর্ববাবু জানিয়েছেন, বিগত ৩টি দফার নির্বাচন থেকে তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক দলের এজেণ্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই এজেণ্টরা যাতে নির্ভয়ে বুথে বসতে পারেন তা নিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ভোটারদের বুথ স্লিপ দেওয়া এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এলাকায় এলাকায় টহলদারী বাড়িয়ে ভোটারদের মনোবল বৃদ্ধি করার দাবী জানানো হয়েছে। এদিন অবজারভারের সঙ্গে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন সিপিএমের পক্ষে অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও তাপস সরকার, সৈয়দ হোসেন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষে এদিন উজ্জ্বল প্রামাণিক জানিয়েছেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে তাঁদের কাছ থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, ইভিএম পরীক্ষা করার সময় স্ক্যাভেঞ্জিং স্টাফ থাকায় তাঁরা আপত্তি জানিয়ছেন। একইসঙ্গে গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেভাবে ঘুরছে তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা যাচ্ছে। অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। ভোটের দিন ১০০ মিটারের মধ্যে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী না ঢোকে সে ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলা ভাষা বোঝে এমন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার আবেদন করা হয়েছে। যাতে তাঁদের সঙ্গে ভাষাগত সমস্যা সৃষ্টি না হয়। অপরদিকে, এদিন বিজেপির পক্ষে নবকুমার হাজরা জানিয়েছেন, জায়গায় জায়গায় বিজেপির প্রচারে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এদিন তা জানানো হয়েছে অবজারভারকে।