ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: গত বিধানসভা ভোটের মতই এবারও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেছে বামেরা। কিন্তু প্রাক নির্বাচনী প্রস্তুতি কিম্বা মিটিং,মিছিল থেকে শুরু করে দেওয়াল লিখনেও পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই সম্ভাবনার কোনো ইঙ্গিতও মেলেনি। বরং ইতিমধ্যেই এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চাও শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারী বর্ধমানে কেন্দ্রীয় সমাবেশ এর আয়োজন করেছিল সিপিআইএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক জানিয়েছিলেন, ২ ফেব্রুয়ারী যে সমাবেশের ডাক তাঁরা দিয়েছেন তা কার্যতই নির্বাচনী সমাবেশ। অচিন্ত্যবাবু জানিয়েছিলেন, বামেদের একক ক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্য নিয়েই এই সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
যদিও এই সমাবেশে ডাক পাননি জোটের সঙ্গী কোনো কংগ্রেস নেতাই। আর এবার নির্বাচনী প্রচার প্রস্তুতির জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় বামেদের দেওয়াল লিখন কে কেন্দ্র করে বিতর্ক আরো তীব্র হল। রবিবার বর্ধমান শহরের বেশ কিছু দেওয়ালে লক্ষ্য করা গেল কেবলমাত্র সিপিআইএম এর প্রার্থীকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার কথাই লেখা হয়েছে। আঁকা হয়েছে দলের কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিন্হও। যদিও প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। আর এরপরই জেলা কংগ্রেসের নেতারা এই ঘটনায় মুখ খুলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি পূর্ব বর্ধমান জেলায় এবং বিশেষত প্রেস্টিজিয়াস আসন বর্ধমান শহর তথা বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভায় সিপিএমের প্রার্থী থাকছেন, কংগ্রেসের নয় বা বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী নয় – কেবলমাত্র সিপিএমেরই প্রার্থীকে এই আসন ছাড়া হয়েছে?
প্রবীরবাবু এও জানিয়েছেন, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী যতক্ষণ না নির্দেশ দিচ্ছেন জেলা সিপিআইএম নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি কোনো আলোচনাই করতে চান না। এদিকে জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি গৌরব সমাদ্দার সরাসরি জানিয়েছেন, জোটের সঙ্গী হয়েও জেলায় এককভাবে সিপিআইএম যে সমস্ত প্রাক নির্বাচনী কর্মসূচি নিচ্ছে এতে জোটের রাজনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে। তিনি জানিয়েছেন, এখনো কোনো আসন সমঝোতা সম্পুর্ন হয়নি, তাই এইভাবে একক সিপিআইএমের প্রতীক ব্যবহার করে দেওয়াল লিখন করা কার্যতই জোট রাজনীতির পরিপন্থী। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে। সুতরাং অবিলম্বে বাম দলগুলির ভাবা উচিত ভোটের প্রচারের আগে জোটসঙ্গী কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে নেওয়া। তিনি এও জানিয়েছেন, কংগ্রেসও একক ভাবে লড়াই করতে জানে। কিন্তু জোট রাজনীতির কথা ভেবেই নেতৃত্ব এই ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে না।