বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: চলতি করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির মাঝেই কাঁচা শাকসব্জির দাম নিয়ে নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে গৃহস্থের। একদিকে করোনা আবহ, অন্যদিকে, বিক্ষিপ্ত লকডাউনের জেরে চলতি সময়ে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই কাঁচা শাক সব্জির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। উল্লেখ্য, বিশেষ করে আলুর দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার টাস্ক ফোর্স গঠন করে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম সহ অন্যান্য শাকশব্জী।
রবিবার বর্ধমান শহর লাগোয়া বেশ কয়েকটি বাজারের জ্যোতি আলুর দাম ২৮ থেকে ৩০ টাকায় ঘোরাফেরা করেছে। চন্দ্রমুখী আলুর দাম বেড়ে ৩৫টাকায় পৌঁছেছে। পিঁয়াজের দাম গত প্রায় একমাসেরও বেশি সময় ধরে খুচরো বাজারে ২০টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। রসুন ১১০ – ১২০টাকা কেজি। আদা ১০০- ১২০ টাকা প্রতি কেজি। আর এসবের মাঝে রীতিমত বেড়েছে অন্যান্য সব্জীর দাম।
এদিন টমেটো ৭০-৮০ টাকা প্রতি কেজি, পটল ৩০- ৪০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছে। ঢেঁড়শ ৪০-৫০টাকা প্রতি কেজি, উচ্ছে ৫০ টাকা প্রতি কেজি, লংকা ৬০-৮০ টাকা প্রতি কেজি, গোটা লাউ প্রমাণ সাইজের ১৫-২০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছে। ফুলকপি ৪০ টাকা প্রমাণ সাইজের, ছোট সাইজের দাম ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কুমড়ো ১২-১৫ টাকা প্রতি কেজ, বেগুন ৫০ টাকা প্রতি কেজি এবং শশা ৪০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অব ট্রেডার্সের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র বিজয় যাদব জানিয়েছেন, আমফানের ঝড়ে যে ক্ষতি হয়েছে সব্জী চাষে তার ফল এবার এসে পড়েছে কাঁচা সব্জীর বাজারে। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে লকডাউনের জেরে যে সমস্ত জায়গা থেকে সব্জী বর্ধমানের বাজারে আসত তা ঠিকভাবে আসতে পারছে না। তিনি জানিয়েছেন, বিহারের কিষাণগঞ্জ থেকে বর্তমানে বর্ধমান বাজারে সব্জি আসছে। কিন্তু লকডাউনের জের এবং একইসঙ্গে করোনার জেরে অনেক সব্জীর পাইকারী ব্যবসায়ী মাল মজুদ করতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে দাম বাড়ছে।