বর্ধমানে কালীর পুত্র সন্তান ৫০দিনে পা দিলো, খুশি বনবিভাগ

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: দেখতে দেখতে কালীর দ্বিতীয় সন্তানের বয়স ৫০দিন হয়ে গেল। এখন সুস্থ সবল কালীর পুত্র সন্তান দিব্যি মায়ের নজরদারিতে দৌড় ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত কালীর প্রথম সন্তানের আয়ু বেশিদিন না হলেও, এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান প্রসব করার পর তার যত্নের কোনো ত্রুটি করেনি মা কালী।

কালী বর্ধমান রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্কের সর্বাধিক আকর্ষণীয় প্রাণী। স্ত্রী চিতাবাঘ। এই পার্কে কালীর একমাত্র সঙ্গী ধ্রুব। বর্তমানে সন্তান প্রসবের পর কালীর থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে ধ্রুবকে। বনদপ্তরের কর্মীদেরও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই, কালী আর ধ্রুবর ব্যাঘ্র শাবক কে প্রতিমুহূর্তে নজরে রাখতে তাঁদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে। ২৪ঘন্টা,  চলছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি।

বর্ধমান বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর লকডাউনের মাঝেই বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্যের মুখ্য আকর্ষণ চিতাবাঘ কালী ও ধ্রুবর একটি সন্তান হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই সেই বাঘের বাচ্চার আর কোনো হদিশ মেলেনি। যা নিয়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিতর্ক। পরবর্তীকালে তদন্ত করে বনদপ্তর থেকে জানানো হয়,
জন্মের পর সন্তান দুর্বল হওয়ায় সম্ভবত কালীই তার বাচ্চাকে খেয়ে ফেলেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, কালীর মল পরীক্ষা করে ছোট হাড়ের টুকরো ও লোম পাওয়া গেছে। ফলে খোদ রমনাবাগানে চিতাবাঘের বাচ্চা প্রসবের পরেও সেই ঘটনায় মুষড়ে পড়েছিলেন বনকর্মীরা সহ আপামর পশুপ্রেমী দর্শকরা।

প্রথম দফায় লকডাউনের পর গত ১২এপ্রিল কালী  ফের প্রসব করেছে একটি বাচ্চা। বনদপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছিল, মা চিতা এবং তার সন্তানের উপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। যেহেতু সেই সময় বাঘিনীর ধারে কাছে পৌঁছানো যাচ্ছিল না, তাই বাচ্চাটির লিঙ্গ নির্ধারণও তখন সম্ভব হয়নি। প্রথম থেকেই সিসিটিভি মারফত নজরদারী চালানো হয়েছে। নজরদারিতে
মোতায়েন করা হয়েছিল বনকর্মীদের। পাশাপাশি বন আধিকারিকদের দুশ্চিন্তাও ছিল, গতবারের মতই কালী তার বাচ্চাকে বাঁচিয়ে রাখবে কিনা তা নিয়ে।

তবে সব সম্ভাবনাকে পিছনে ফেলে কালীর পুত্র সন্তান ৫০দিন পার করে দিয়েছে। খাঁচার ভিতর মায়ের নজিরদারিতে দিব্যি ঘুরে বেড়িয়ে খেলে বেড়াচ্ছে। যদিও নতুন ব্যাঘ্র শাবকের এখনো নামকরণ হয়নি। বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আপাতত কালী ও ধ্রুবকে এনক্লোজারের ভিতর আলাদা খাঁচায় রাখা হয়েছে।

Recent Posts