ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান : বিয়ের ৬ মাস কাটতে না কাটতেই নৃশংস্যভাবে এক কলেজ অধ্যাপকের খুন হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমানে। এই খুনের পিছনে তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। ঘটনার পরই বেপাত্তা স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত অধ্যাপকের নাম মহম্মদ
আক্তার হোসেনুর রহমান (৪০)। বাড়ি বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার একডালায়। মহম্মদ আক্তার হোসেনুর রহমান বর্ধমান উদয়চাঁদ মহিলা কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি সম্প্রতি বর্ধমানের কৃষ্ণপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে সস্ত্রীক থাকতেন। জুলাই মাসে হোসেনুর রহমানের বিয়ে হয় সুহানা পারভিনের।
হোসেনুর রহমানের বাবা মুজিবর রহমান জানিয়েছেন, বুধবার সকালে সুহানা পারভিন তাঁকে ফোন করে। তাঁকে বলা হয় হোসেনুর রহমান বাথরুমে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাই তাঁদের তাড়াতাড়ি আসতে বলা হয় বর্ধমানে। মুজিবর সাহেব জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের বউয়ের ফোন পেয়ে তিনি তাঁকে হোসেনুরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাবার কথা বলেন, কিন্তু ততক্ষণে ফোন কেটে দেওয়া হয়। এদিকে, এই খবর পেয়েই তাঁরা বর্ধমানের কৃষ্ণপুরের বাড়িতে গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করা রয়েছে। দরজা খুলে ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখেন তাঁর ছেলে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর হয়ে পড়ে আছে। মাথার পিছনের দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এরপরই তাঁরা উইমেন্স কলেজে যান। সেখান থেকে বর্ধমান থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ মর্গে নিয়ে যায়। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কেন এই অধ্যাপককে খুন করা হয়েছে সে ব্যাপারে পরিবারের লোকজন তেমন কিছু বলতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ার কারণও যেমন থাকতে পারে তেমনি তৃতীয় কোনো প্রেমের ঘটনাও থাকতে পারে। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে নিহত অধ্যাপকের স্ত্রীর খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।