বর্ধমানে গ্রামে ঢোকার মুখেই করোনা হাসপাতাল, আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা বন্ধ করে দিলেন গ্রামে ঢোকার রাস্তা

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: গ্রামে ঢোকার মুখেই কোভিড-১৯ হাসপাতাল। আর এতেই রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। কারণ, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনা সন্দেহে এবং করোনা সংক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের সরাসরি স্থানান্তর করে দেওয়া হচ্ছে বর্ধমান শহরের গাংপুর স্বস্তিপল্লী এলাকার ক্যামরী বেসরকারী হাসপাতাল এবং বর্ধমানের গোদায় বেঙ্গল ফেথ মেডিকা বেসরকারী হাসপাতালে। আর এই খবর জানাজানি হতেই ক্যামরি হাসপাতাল সংলগ্ন স্বস্তিপল্লী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আতংকের জেরে গ্রামের রাস্তাও বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা। আর এই খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে গেলেন বিধায়ক থেকে প্রশাসনিক কর্তারা।
উল্লেখ্য, হাওড়া জেলা হাসপাতাল থেকে শিক্ষা নেওয়ার পর রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনা সন্দেহে এবং করোনা সংক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের শহরের দুই প্রান্তে দুটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জেলার ৫জন এই ধরণের রোগীকে ক্যামরীতে ভর্তি করা হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় একজনেরও করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। জেলাশাসক জানিয়েছেন, জেলায় কেউ এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত বা পজিটিভ কেস পাওয়া যায়নি। এমনকি ক্যামরীতে ভর্তি হওয়া রোগীদের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরেই ক্যামরী হাসপাতাল সংলগ্ন স্বস্তিপল্লী এলাকার মানুষজন এই ঘটনায় রীতিমত আতংকিত হয়ে পড়েন। গ্রা্মবাসীরা জানিয়েছেন, এই এলাকারই একজন ক্যামরীতে নার্সের চাকরী করেন। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আতংকে রয়েছেন গোটা এলাকার মানুষ। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে এলাকায় ঢোকার সমস্ত রাস্তাকেও বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে। আর এই খবর পাওয়ার পরই সোমবার এলাকায় ছুটে যান বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক সহ ব্লক স্বাস্থ্যাধিকারিক, শক্তিগড় থানার ওসি প্রমুখরাও।
এদিন তাঁরা গ্রামের মানুষের সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। গোটা গ্রামে মাইকিং করে অযথা গুজব না ছড়ানো এবং আতংকিত না হবার আবেদন জানান। গ্রামবাসীরা এদিন সরাসরি বিধায়ক সহ উপস্থিত প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে তাঁদের আতংকের বিষয় জানান।
বিধায়ক নিশীথ মালিক জানিয়েছেন, কিছু মানুষ অহেতুক আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন স্বস্তিপল্লী এলাকায়। তাঁরা গ্রামে গিয়ে সকলকে বোঝান। গ্রামবাসীদের বক্তব্য তাঁরা শোনেন। অহেতুক গুজবে কান না দেওয়া, করোনা সংক্রান্ত নিয়মাবলী, সামাজিক দূরত্ব প্রভৃতি মেনে চলার আবেদন জানান গ্রামবাসীদের কাছে। একইসঙ্গে অহেতুক রাস্তা বন্ধ করার মত পরিস্থিতি তৈরি না করার আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনিক পর্যায়ে।