ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: অনেকে ভেবেছিলেন ঘোর কলিতেও দস্যু রত্নাকর বোধহয় বাল্মীকি হওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সম্বিৎ ফিরতেই বোঝা গেল এতো কাঁড়ে পরে ভাঁড়ে জল খাওয়ার মতো ব্যাপার। চুরির পর দু রাত কাটতে না কাটতেই বাড়ি বয়ে সোনাদানা, টাকা পয়সা ফেরত দিয়ে গেল চোর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান শহরের ৫নং ওয়ার্ডের আলুডাঙা মাঠপাড়া এলাকায়। বর্ধমান শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের আলুডাঙ্গা মাঠপাড়ার বাসিন্দা হীরা শেখের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার গহনা ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে পালায় চোর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘরে তালা লাগিয়ে কয়েক ঘন্টার জন্য পাশের পাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে গিয়েছিলেন হীরা। ফিরে এসে দেখেন ঘরের তালা ভাঙা। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জিনিসপত্র। তছনছ করে দেওয়া হয়েছে আলমারি। ঘরে থাকা সোনার রাখা সোনার গয়না টাকা পয়সা কিছুই নেই। এরপরই বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হীরা শেখ। সব হারানোর মন খারাপ নিয়েই শনিবার সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন হীরা। সেসময় ফোনে খবর পান বাড়ির সামনে একটি ব্যাগ রাখা রয়েছে। সেই খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে এসে খুলে দেখেন, চুরি যাওয়া গয়না, টাকা কড়ি সবই রয়েছে ওই ব্যাগের মধ্যেই। চুরি যাওয়া সামগ্রী ফেরত পেয়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা। চোরেরা লুট করা সামগ্রী ফেরত দিয়ে গেছে- এই খবর চাউর হতেই ভিড় জমে যায় হীরা শেখের বাড়ির সামনে।
প্রাথমিকভাবে পরিবারের অনুমান, এই চুরির ঘটনায় পুলিশ ২জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আর তাতেই মূল অভিযুক্তের ধরা পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। আর গ্রেপ্তারের ভয়েই চোরের এই সুবুদ্ধি। যদিও জানা গেছে, সোনা ও রূপার গহনা সবই ফেরত পেলেও নগদ টাকার একটি বড় অংশই চোর ফেরত দিতে পারেনি। ফেরত দিয়েছে মাত্র ১৯ হাজার ৫০০ টাকা। বর্ধমান থানার এক অফিসার জানিয়েছেন, এই চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরই মাঝে একজন এলাকা ছাড়া হয়ে যায়। আর তারপরেই শনিবার সকালে চুরির মালপত্র ফেরত দেবার ঘটনায় চোর আশপাশেরই বলে তাঁদের মনে হচ্ছে। যদিও মূল অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।