বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পিকের নির্দেশিত জলযোগে যোগাযোগ কর্মসূচীকে ঘিরে এবার শুরু হয়ে গেল একের পর এক বিতর্ক। একদিকে যেমন ৮ ফেব্রুয়ারী বাংলার গর্ব মমতা শীর্ষক কর্মসুচীর সূচনা লগ্নেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোঁদল প্রকাশ্যে এসেছিল এবার শুরু হল সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান জলযোগে যোগাযোগ কর্মসূচী। যদিও এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে শুরু হয়েছে চরম বিতর্কও।
ইতিমধ্যেই সাংবাদিকদের খাইয়ে দাইয়ে তাদের বশীকরণ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। আর অন্যদিকে, পিকের টীমের ঘাড়ে বন্দুক রেখেই এলাকার বিধায়করা নিজেদের পছন্দমত সাংবাদিকদের নিয়ে পালন করছেন এই কর্মসূচী। আর তাকে ঘিরেই এবার শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের ভেতরে নতুন কোন্দল। গত ১১ মার্চ বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে হাটগোবিন্দপুরে পালিত হয় এই কর্মসূচী। যদিও তাতে ডাক পাননি অনেক সাংবাদিকই। আর এরপরেই বৃহস্পতিবার বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান এই কর্মসূচী পালন করলেন সাংবাদিকদের নিয়ে।
এই কর্মসূচীতেই বাংলার গর্ব মমতা কেন তার ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি। পাশাপাশি এই সময়কালে তাঁর এলাকায় কি কি উন্নয়ন হয়েছে তারও খতিয়ান তুলে ধরেন নুরুল। পাশাপাশি এদিন প্রস্তাবিত কর্মসূচীর নির্দেশ মতই তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে আরও কি কি উন্নয়ন কাজ করা যায়, বা কি কি ধরণের সমস্যা তৈরী হচ্ছে তা নিয়েও তিনি আলোচনা করেন। তাঁর এই কর্মসুচীতে হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতৃবৃন্দ সহ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য, সদস্যাও।
এদিকে, এই অনুষ্ঠানের পরই তোপ দাগলেন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক। তিনি জানিয়েছেন, নুরুল হাসানের এই কর্মসূচী সম্পূর্ণ অবৈধ। এমনকি নিশীথবাবু জানিয়েছেন, এই কর্মসূচীর বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানোও হয়নি। তিনি এই কর্মসূচীর খবর পেয়েই দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ সহ রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এমনকি এব্যাপারে তিনি বর্ধমান জেলা পুলিশকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। বস্তুত, নিশীথবাবুর এই বক্তব্যের পরই শুরু হয়ে গেল নতুন করে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দল।