বর্ধমানে জেলা কমিটির বৈঠকে দলবদলুদের নিয়ে সতর্ক করলেন তৃণমূলের নতুন সভাপতি

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যান ঘোষণা হওয়ার পর মঙ্গলবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত হল প্রথম জেলা কমিটির বৈঠক। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, চেয়ারম্যান অশোক বিশ্বাস ছাড়াও সমস্ত জেলা কমিটির সদস্যরা। 

বিজ্ঞাপন
এদিন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নতুন জেলা সভাপতি হলেও পুরনো কমিটিই এখনও বহাল রয়েছে। তাই সকলের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কিভাবে দলকে পরিচালনা করা হবে তা নিয়েই এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সভাপতির নির্দেশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি জেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্বভার পাওয়ার পর খোদ বর্ধমান শহরের ৬নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে খুন হন এক তৃণমূল কর্মী। যা নিয়ে গোটা জেলা জুড়েই বিতর্ক ছড়ায়। এদিন সেই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মৃত্যু খুবই দুঃখজনক, কিন্তু এটা দলীয় সংঘর্ষ নয়, পাড়ার সমস্যা। সাধারণ সম্পাদক হোক অথবা দলের সভাপতি, যেই হোক না কেন অভিযোগ হলে পুলিশ গ্রেফতার করতেই পারে। তার মানেই সেটা দলীয় বিষয় নয়। 
উল্লেখ্য, এদিন রবীন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন, নতুন কমিটি পরবর্তী সময়ে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। একইসঙ্গে নতুন ব্লক কমিটি কিংবা বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত দলীয় সমস্যা রয়েছে সেগুলি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট একটা নিয়মের মধ্যেই দলের নতুন কমিটি গঠন করা হবে। একইসঙ্গে অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে আসার বিষয় নিয়েও এদিন নেতৃত্বদের সচেতন করে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আগে দেখুন, যাঁরা আসতে চাইছেন, তাঁরা আসলে কতটা উপকার হবে। নাহলে যে কেউ ঢুকে পড়বে, সেটা ঠিক নয়। 
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি এদিন প্রথম জেলার অধিকাংশ নেতাদের উপস্থিতিতে সভা করলেও এই সভায় কোনো দলীয় কোন্দোল সামনে আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, কর্মীরা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ বর্তমানে একপ্রকার মেনে চলছেন সেটাই আজকের বৈঠকের পর রাজনৈতিক ভাবে সুস্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

আরো পড়ুন