বর্ধমানে তৃণমূলের কিছু কুত্তা আর হায়না দলটা নষ্ট করছে – ইফতিকার আহমেদ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার নিল বর্ধমান শহরে। বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান শহরের রেল ষ্টেশন এলাকায় আইএনটিটিইউসির ডাকা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় রীতিমত রক্ত ঝরানোর হুমকি দিলেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু। আর এই ঘটনায় ফের বর্ধমান শহরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোঁদল তীব্র আকার নিল। 

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি যাত্রার প্রথম পর্বের শেষ দিনে কার্জন গেটে আয়োজিত পথসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল খোকন দাসকে বিজেপির দালাল, খোকন দাস দূর হঠো বলে শ্লোগান দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠী। সেই সময় ওই সভায় হাজির ছিলেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার সহ জেলার প্রথম সারির প্রায় সব নেতাই। খোকন দাসের উদ্দেশ্যে এই শ্লোগানকে ঘিরেই শহর জুড়ে আড়াআড়ি ভাবে দুটি ভাগ হয়ে যায় দুটি গোষ্ঠী । প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের এই গোষ্ঠীবাজিকে ঘিরে শুরু হয়েছে হুঁশিয়ারীর পালাও। একে অপরের বিরুদ্ধে হুংকার দিয়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার রাতেও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। 

আইএনটিটিইউসির ওই সভায় ইফতিকার আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার কিছু কুত্তা আর হায়নার দল তাঁদের প্রিয় নেতা খোকন দাসকে অপমান করার চেষ্টা করেছে। এরকম হলে তাঁরা চুপ করে থাকবেন না। এরকম চলতে থাকলে রক্ত ঝরবে। ইফতিকার নাম না করেই এদিন স্বপন দেবনাথের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা এই ঘটনায় রিং মাষ্টারের কাজ করছেন, মাথায় হাত রাখছেন ওই কুত্তা আর হায়নাদের – তারাও রেহাই পাবেন না। ইফতিকার বলেন, সামনে বিধানসভা ভোট। কঠিন পরীক্ষা। সকলের উচিত একসঙ্গে কাজ করা। কোনো নেতাকে রাস্তায় নামিয়ে আনলে তাঁরা চুপ করে বসে থাকবেন না – তা সে যত বড়ই নেতা হোক না কেন। 
বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন খোদ খোকন দাস বলেন, একটু একটু করে তাঁরা দলটাকে গড়েছিলেন। কিন্তু তারই মাঝে কিছু বাজে মানুষ যারা বিভিন্ন নেতাদের হাত ধরে দলে ঢুকেছেন তারাই দলটাকে নষ্ট করতে চাইছেন। দুর্দিনে তারা কেউ তৃণমূলে ছিলেন না। তিনি বলেন, তাঁরাও চান মমতা ব্যানার্জ্জীই তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হোন। কিন্তু কিছু নেতা দলটার অপমান করে চলেছেন।

আরো পড়ুন