বর্ধমানে তোলা না দেওয়ায় অধ্যাপকের বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, চাঞ্চল্য

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: তোলা না দেওয়ায় প্রতিবেশী এক অধ্যাপকের বাড়িতে গভীর রাতে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমান থানার রায়ান গ্রামে। এই ঘটনায় বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন জঙ্গিপুর পলিটেকনিক কলেজে  অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত রায়ান গ্রামের বাসিন্দা টুটুল মজিলা। অভিযুক্ত মানস ভট্টাচার্য বর্ধমান ১ ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্য। এই ঘটনায় মানসের সঙ্গে প্রতিবেশী পরেশ ও দীনেশ মাজিলার নামও অভিযোগে জানিয়েছেন টুটুল মজিলা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এখনও কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি।

টুটুল মাজিলার দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই মানস ভট্টাচার্য তার দলবল নিয়ে তার ও পরিবারের উপরে চাপ সৃষ্টি করে আসছে টাকার জন্য। সেই টাকা না দেওয়াতেই পরিকল্পিতভাবেই এই অত্যাচার শুরু করেছে। টুটুল মাজিলা বলেন, ‘আমার বাড়িতে পাঁচিল তৈরীর সময়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেছিল। আমি ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা দিতে পারিনি বলে আমার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে আমাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এমনও বলেছে, বৌকে সাদা থান কিনে দিয়ে যাস। পরে আর লোক পাবিনা কেনার। বারবার আমাদের পরিবারের উপরে অত্যাচার করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

এমনকি তৃণমূলের জেলাসভাপতি থেকে অনান্য নেতৃত্বকেও জানিয়ে ফল পাননি বলেই অভিযোগ করেছেন টুটুল মজিলা। তিনি বলেন, ‘রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ বাড়ির নিচে পরপর দুটো বোমা ফাটার আওয়াজ শুনতে পাই। বোমার আওয়াজ শুনে দোতলার বারান্দায় বেরিয়ে দেখতে পাই ওরা পরেশ ও দীনেশ মাজিলার বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে। ওদের সঙ্গে মানসও ছিল। এই সময় পাথর মেরে দোতলার ঘরের কয়েকটা জানলার কাঁচ ভেঙে দেয় ওরা। আমরা খুব আতঙ্কে আছি। টুটুল মজিলা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘যেকোনদিন আমাকে খুন করে দিতে পারে মানস ভট্টাচার্য বা তার লোকেরা।’

অভিযোগ অস্বীকার করে যুব নেতা মানস ভট্টাচার্য বলেন, ‘সম্পূর্ন পরিকল্পিত ও বানানো গল্প। বোমা মারা হয়ে থাকলে তার একটা দাগ থাকবে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। আমি এটাই বলতে পারি, উনি বিজেপির ইন্ধনে একেবারে পরিকল্পিতভাবে দল ও আমাকে বদমান করার জন্য এইকাজ গুলো করছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমি অপরাধ করে থাকলে আইন মেনে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’ জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ঘটনার খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আদপেও এটা কতটা সত্য সেটাও দেখা হবে।’ তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন,’ কি ঘটেছে পুলিশ তদন্ত করছে। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় আইন মাফিক সাজা হবে।”

Recent Posts