বর্ধমানে দলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও দলেরই সাধারণ সম্পাদক খোকন দাসের, উত্তেজনা

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ‘সৈয়দ মহম্মদ সেলিম এক সময় সিপিএম করতো, পরে তৃণমূলের টিকিটে কাউন্সিলার হয়ে এখন নেতা হয়ে গেছে। যাকে তাকে মারছে। আর ২০টা মামলা চালাচ্ছে।’ শুত্রুবার বর্ধমানের ৬নং ওয়ার্ডের খালাসিপাড়া এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পর দলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলার কে গ্রেফতারের দাবিতে সন্ধ্যায় বর্ধমান থানা ঘেরাও করে এমনি মন্তব্য করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা বর্ধমান পৌরসভার আরেক প্রাক্তন কাউন্সিলার খোকন দাস।

বিজ্ঞাপন

  এদিন দলীয় পতাকা ছাড়াই খোকন দাসের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায় বর্ধমান থানার সামনে। এই নিয়ে ভর সন্ধ্যায় উত্তেজনাও ছড়ায় থানার সামনে। এদিকে দলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিতে দলেরই জেলার সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বিক্ষোভ কে ঘিরে দলের অন্দরেই চর্চা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য এদিন সকালে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি কাদের দখলে থাকবে তাই নিয়েই দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দলেরই এক কর্মী শিবশংকর ঘোষ গুরুতর আহত হয়। দলীয় কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার সৈয়দ মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে। শিবু ঘোষ অভিযোগ করেছেন, সেলিম পরিকল্পিত ভাবে এই আক্রমণ করেছে। এমনকি মঙ্গলকোট থেকে লোক নিয়ে এসেছিল তাদের ওপর হামলা করার জন্য।

এদিকে এই ঘটনার পরই সেলিমের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন এমনকি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দেন দলেরই সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস। এরপরই এদিন সন্ধ্যায় দলীয় পতাকা ছাড়াই দলের দুই সাধারণ সম্পাদক দলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলরের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন বর্ধমান থানার সামনে। পরে পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়। এদিকে দলের যুযুধান দুই গোষ্ঠীর বক্তব্য আর পাল্টা বক্তব্যে আসন্ন নির্বাচনের আগে খোদ বর্ধমান শহরে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে উঠছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

আরো পড়ুন