ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: নির্বাচনী সময়ে বর্ধমান শহরের গুডসেড রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি দলীয় অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগে ফেরার ২ বিজেপি সমর্থককে গায়ে হাত না তুলে কান ধরে উঠবোস করিয়ে সবক শেখালেন তৃণমূলের নেতারা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে শহর জুড়ে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বৈকুন্ঠপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা সদস্যা মিতা দাসের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে বের হওয়া বিজেপি করার অপরাধে এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে কান ধরে উঠবোস করাচ্ছেন তৃণমূলের ওই মহিলা নেত্রী। এই ছবি ভাইরাল হয়। গোটা ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করে। খোদ তৃণমূলের উর্ধতন নেতৃত্ব এই ঘটনায় সমঝে চলার নির্দেশ দেন ওই নেত্রীকে।
আর সেই ঘটনার পর এবার বর্ধমান শহরের গুডসেড রোডে দুই বিজেপি সমর্থককে কানধরে উঠবোস করালেন তৃণমূলের নেতারা। এই ঘটনায় বিজেপির বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার আহ্বায়ক কল্লোল নন্দন জানিয়েছেন, এই ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাই তাঁরা চান প্রশাসন এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। অন্যদিকে, যে নেতার নেতৃত্বে এই কানধরে উঠবোস করানো হয়েছে সেই তৃণমূল কংগ্রেসের এসসি ওবিসি সেলের জেলা সম্পাদক অশোক মণ্ডল জানিয়েছেন, গত ২মের পর থেকেই ওই এলাকার প্রায় ১০-১২ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন। নির্বাচনের সময় গুডসেড রোডে তৃণমূলের দলীয় অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
তিনি দাবী করেছেন, ওই পলাতকদের পরিবারের লোকজন তাঁদের ঘরে ফিরিয়ে দেবার আবেদন জানিয়েছেন। তার মধ্যে এই দুজন বাড়ি ফেরে। এদিন তাদের এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি কোনোরকম অশান্তি না করার জন্য বলা হয়েছে। যেহেতু তাদের ওপর এলাকার মানুষের রাগ রয়েছে। তাই বড়সড় কোনো অশান্তি যাতে না হয় সেজন্য সকলের সামনে তাদের কানধরে উঠবোস করিয়ে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। তারাও তাদের বাবা-মার পা ধরে জানিয়েছে, এলাকায় তারা কোনো অশান্তি করবে না।
অশোকবাবু জানিয়েছেন, এই সবক শেখানো না হলে এলাকার মানুষের হাতে তারা আক্রান্ত হতে পারত। তিনি জানিয়েছেন, তাদের কখনই জোর দিয়ে বলা হয়নি বিজেপি ছেড়ে দিয়ে তৃণমূল করতে হবে। যেহেতু এলাকার পার্টি অফিস ভাঙচুর করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এবং তা নিয়ে এলাকায় একটা রাগ ছিল তাই তা যাতে আর বড়সড় কিছু না হয় সেজন্যই এই শিক্ষা তাদের দেওয়া হয়েছে।