বর্ধমানে নাড্ডার পাল্টা তৃণমূলের রোড শো পরিণত হল জনসমুদ্রে

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: শনিবার বর্ধমান শহরে 

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডার রোড শো কে কেন্দ্র করে জনজোয়ারের পর রবিবার বর্ধমানে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি সোহম চক্রবর্তীর রোড শো কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হল। এদিন বর্ধমান টাউন হল থেকে রীতিমত থিকথিকে ভীড়ে ঠাসা জনসমুদ্রে এই কেন্দ্রীয় মহামিছিল পৌঁছায় গোলাপবাগ মোড় পর্যন্ত। এদিন সোহমের সঙ্গে রোড শো তে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার, প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সংঘমিত্রা, মেমারীর বিধায়ক নার্গিস বেগম প্রমুখরাও। হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও। যদিও শুরুর দিকে অনেকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত সবাইকে দেখতে পাওয়া যায়নি।

শনিবারই নাড্ডার রোড শো নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কটাক্ষ করে স্বপন দেবনাথ জানিয়েছিলেন, বিজেপি বাইরে থেকে ভাড়া করা লোক নিয়ে রোড শো করেছে। বিহার ঝাড়খণ্ড থেকেও লোক নিয়ে আসা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বপনবাবু সাংবাদিক বৈঠকে জানান, রবিবারের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের মহা মিছিলে তৃণমূলকে বাইরে থেকে লোক আনতে হবে না। কেবলমাত্র বর্ধমান সদর ১ ও ২ নং ব্লকের লোক নিয়েই তাঁরা জমায়েত করবেন। কিন্তু এদিন বীরহাটা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত রাস্তার দুধারে যে সমস্ত বাসকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে তৃণমূলের লোক আনার জন্য সেগুলির মধ্যে ছিল কালনা, জামালপুর ছাড়াও আরামবাগ রুটের কিছু বাস।

 যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভম নিয়োগী। তিনি জানিয়েছেন, নাড্ডার রোড শো-এর পাল্টা রোড শো করতে গিয়ে তৃণমূল লোক জমায়েত করতে পারেনি। নাড্ডার রোড শোয়ের জমায়েতের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারেনি তৃণমূল। এদিকে শনিবারের পর রবিবারও তৃণমূলের লোকসমাগমের ধাক্কায় দুপুর প্রায় ৩টে থেকেই বীরহাটা থেকে গোলাপবাগ পর্যন্ত সমস্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। টাউন হল থেকে সোহমের নেতৃত্বে রোড শো যতই এগিয়েছে ভিড়ে ঠাসা মিছিল অবশ্য ধীরে ধীরে হাল্কা হতে শুরু করেছে। তা সত্ত্বেও গোলাপবাগ পর্যন্ত এদিন তৃণমূল সমর্থকরা রীতিমত চুড়ান্ত উৎসাহের সঙ্গেই মিছিলে পা মিলিয়েছেন।

Recent Posts