ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা দেশে আতঙ্ক ছেয়ে গেলেও মঙ্গলবার বর্ধমানের দোল নিয়ে তার কোনো রেসই দেখা গেল না। বরং করোনার আতংককে দূরে সরিয়ে রেখে এদিন সকাল থেকেই দোল নিয়ে মাতলেন বর্ধমানবাসী। যদিও এদিন সকাল থেকেই জেলা পুলিশ কোথাও কোনো রং খেলা নিয়ে যাতে অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি না হয় সেজন্য গোটা জেলা জুড়েই ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে।
পাশাপাশি রাজ্য ও জাতীয় সড়কেও বিশেষ নজরদারি চালায় জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। ফলে একদিকে যেমন বড় কোন ঘটনা ঘটেনি তেমনি দুর্ঘটনার খবরও পাওয়া যায়নি।
এরই মাঝে এদিন বিকালে বর্ধমান শহরের বাদামতলার চৌধুরী চিঁড়ে মিল এলাকায় মহিলাদের গায়ে রং দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটল। এই সংঘর্ষে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। আহতদের কয়েকজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। অন্যদিকে, অশান্তির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ১০জনকে আটকও করে নিয়ে যায়। পরে ৪জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন মদ্যপ অবস্থায় তিনকোণিয়া বাসস্ট্যাণ্ড এলাকার কয়েকজন যুবক বাদামতলা একটি মহল্লায় গিয়ে সেখানে জোর করে মহিলাদের রং দিতে যান। তা নিয়ে বচসা থেকে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
এদিকে, এরই পাশাপাশি এদিন দোল নিয়ে গোটা জেলা জুড়েই রাস্তায় পুলিশ টহল ছিল চোখে পড়ার মত। বর্ধমানের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে সিভিক ভলেণ্টিয়ার থেকে পুলিশ কর্মীরা মোতায়েন ছিলেন সকাল থেকেই। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, হেলমেটহীন অবস্থায় গাড়ি চালানো, সিট বেল্ট ছাড়া চারচাকা চালানো এবং দ্রুত গতিতে মোটরবাইক চালানোর দায়ে কেবলমাত্র বর্ধমান থানার পুলিশই ৪৩ জনকে জরিমানা করেছে।
এরই পাশাপাশি শক্তিগড় থানার পুলিশ হেলমেটহীন অবস্থায় গাড়ি চালাতে দেখলেই তাঁদের দাঁড় করিয়ে তাঁদের হাতে গোলাপ ফুল ধরিয়ে দিয়েছেন। অপরদিকে, পুরনো ঐতিহ্য মেনেই মঙ্গলবার বর্ধমানের দোল নিয়ে ছিল নানান জায়গায় অনুষ্ঠান। কচি কাচা থেকে প্রাপ্ত বয়স্করাও এদিন নাচগান, হৈ হুল্লোড় করে দিনটি পালন করেন। শহরের উৎসব ময়দানে ‘আবিরা’ নামে একটি জমকালো হোলি ইভেন্টের আয়োজন করে একটি সংস্থা। প্রায় ৪০০ জন বিভিন্ন বয়সের মানুষ এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন।