বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বেশ কিছুদিন ধরেই বর্ধমানের নির্মল ঝিল শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লী এবং গ্যাস চুল্লী দুটি বন্ধ থাকায় চলতি বর্ষার সময়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন মৃতদেহ সৎকারে আসা মানুষজন। বৈদ্যুতিক ও গ্যাস চুল্লী বন্ধ থাকায় সেই পুরনো প্রথায় কাঠের চুল্লীতেই মৃতদেহ পোড়ানোর কাজ চলছে। চলতি বর্ষার মরশুমে সেই কাঠ ভিজে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। মৃতদেহ সৎকারে আসা মানুষজন জানিয়েছেন, ভিজে কাঠে মৃতদেহ পোড়াতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। যেখানে ওই দুই চুল্লীতে ৪৫ থেকে ৫৫ মিনিটের মধ্যেই পোড়ানো যাচ্ছিল।
এব্যাপারে বর্ধমান পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার অমিত গুহ জানিয়েছেন, গ্যাস চুল্লীটিকে পূর্ণভাবে সংস্কারের কাজ চলছে। তাই সেটি বন্ধ। উল্লেখ্য, বাম আমলে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের হাত দিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছিল এই গ্যাস চুল্লীর। এরপর গত বছর বৈদ্যুতিক চুল্লী চালু হয়। কিন্তু সম্প্রতি তাতে কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। যেহেতু এই ধরণের বৈদ্যুতিক চুল্লীর মেরামতির কাজ করেন কলকাতার একটি সংস্থা। তাই তাঁদের গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অমিতবাবু জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই চুল্লী মেরামতের কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তাঁরা আশা করছেন আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বৈদ্যুতিক চুল্লী ফের চালু করা যাবে। তবে তিনি জানিয়েছেন, গ্যাস ও বৈদ্যুতিক চুল্লী বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছেন এটা ঠিকই তবে তা সাময়িক। তাঁরা দ্রুত চেষ্টা চালাচ্ছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার।
এদিকে বর্ধমান পুরসভার ৩৩নং ওয়ার্ডের কিছু বাসিন্দা অভিযোগ তুলেছেন, বর্ধমান পুরসভার শববাহী গাড়িগুলি নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এমনকি চলতি করোনা আবহে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই তাঁরা বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক তথা বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমা শাসক পুষ্পেন্দু সরকার এবং বর্ধমান পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার অমিত গুহের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুরসভার শববাহী গাড়িগুলি এই ওয়ার্ডে অবস্থিত পুরসভার ষ্টোরে রাখা হয়। সম্প্রতি ওই গাড়িগুলি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। চলতি করোনা আবহের মাঝে যা নতুন করে আতংক সৃষ্টি করেছে। একইসঙ্গে পুরসভার এই ষ্টোর জঙ্গলে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় সাপের উৎপাত বেড়েছে। এব্যাপারে অমিত গুহ জানিয়েছেন, এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। তিনি জানিয়েছেন, নিয়মিত ওই গাড়িগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বা বর্তমানে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, জঙ্গলের বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন। তবে এরজন্য বাসিন্দাদের কোনো অসুবিধা হবার কথা নয়।