বর্ধমানে পারিবারিক ঝামেলায় নাম জড়ালো টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রীর বাবার, তদন্তে পুলিশ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বাড়ি ঢোকার পথে বাড়ির সরু রাস্তায় মোটর সাইকেল দাঁড় করিয়ে রাখা কে কেন্দ্র করে একই পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে অন্য সদস্যদের মারধোর, মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বর্ধমান থানায় নিপীড়িত ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমনকি পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ঘটেছে শহরের বাজেপ্রতাপপুর এলাকায়। পারিবারিক এই বিবাদের জেরে অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী, তৃণমূল নেতা তথা পরিবারেরই সদস্য তথা টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রীর বাবা দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে। যদিও দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে স্থানে এই ঘটনার কথা বলা হচ্ছে তার থেকে প্রায় ১০০মিটার দূরে অভিযোগকারীর বাড়ি। কখন, কারা, কি ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁর জানা নেই। তবে অভিযোগকারী সৌরভ গাঙ্গুলি যে তাঁর আত্মীয় সে কথা স্বীকার করে নিয়েও দেবপ্রসাদ বাবু জানান, ঘটনার যে সময়ের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে সেই সময় তিনি অন্য জায়গায় বস্ত্রবিতরণ কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন। তাই ঠিক কি ঘটেছে তাঁর জানা নেই। কি কারণে তাঁর নামে অভিযোগ করা হয়েছে তাও তাঁর জানা নেই।
সৌরভ গাঙ্গুলীর অভিযোগ,গত ১১অক্টোবর অর্থাৎ মহা ষষ্ঠীর দিন তিনি যখন বাড়ি ঢুকছিলেন তখন  তাঁর বাড়ির গলিতে একটি মোটর সাইকেল পথের মাঝে রাখা ছিল। তিনি এর প্রতিবাদ করলে তাঁর আত্মীয় রাজু গাঙ্গুলি প্রথমে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলীকে ফোন করে খবর দিলে তাঁরই মদতপুষ্ট এলাকার কিছু দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে এবং তাঁর শিক্ষক বাবাকে মারধর করে ও তার মায়েরও শ্লীলতাহানি করে। 
এমনকি মারধোরের পর তিনি যখন চিকিৎসা করাতে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান সেখানেও অজ্ঞাত পরিচয় কিছু যুবক তাকে বিষয়টা মিটিয়ে নিতে ও পুলিশে অভিযোগ করতে বারণ করে বলে অভিযোগ জানান সৌরভ বাবু। সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, এরপর পরেরদিন অর্থাৎ ১২অক্টোবর,মঙ্গলবার বর্ধমান সদর থানায় গোটা বিষয় জানিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগে দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলি, দেবজ্যোতি গাঙ্গুলি এবং সুজয় মাল ওরফে গোবিন্দার নামে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। 
আর এরপরই পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, একই পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও শুধুই কি প্রভাবশালী হওয়ার জন্যই খোদ নিজের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও ক্ষমতা প্রয়োগের চেষ্টা করেছেন দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলি এবং দেবজ্যোতি গাঙ্গুলি নাকি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনো রহস্য আছে, তা পুলিশি তদন্তের পরই জানা যাবে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।

আরো পড়ুন