বর্ধমানে পুরনো রেলব্রীজ এখনই ভাঙা হচ্ছে না, রেল-জেলা প্রশাসন বৈঠক

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে বর্ধমানে নতুন রেলওয়ে ওভারব্রীজ চালু হওয়ার পর এখনও সেই ফ্লাইওভার জেলা প্রশাসন হাতে না নেওয়ায় বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। এই সমস্যা দ্রুত মেটানোর ব্যাপারে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দক্ষিণ পূর্ব রেলের ডিআরএম সঞ্জয় কুমার সাহা বৈঠক করলেন। 

বৈঠকে রেলের নতুন ও পুরোনো ওভারব্রীজ নিয়ে আলোচনা হয়।
ডিআরএম সঞ্জয় কুমার সাহা এদিন জানিয়েছেন, এখনই বর্ধমানের পুরনো রেলওয়ে ওভারব্রীজকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন, ফ্লাইওভার হস্তান্তর না হওয়ায় তা রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই এদিন জেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ডিআরএম জানিয়েছেন, পুরনো রেলব্রীজের অবস্থা অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে থাকায় নতুন ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখন নতুন ফ্লাইওভার দিয়ে সমস্ত গাড়িই যাতায়াত করছে। কিন্তু সাইকেল বা পায়ে হাঁটার ক্ষেত্রে পুরনো ব্রীজকে এখনও রেখে দেওয়া হয়েছে।

 

তিনি জানিয়েছেন, এখনই এই পুরনো রেলব্রীজকে ভাঙা হচ্ছে না। কারণ এই ব্রীজ ভেঙে দিলে পথচলতি মানুষ নানাবিধ অসুবিধায় পড়বেন। তিনি এদিন জানিয়েছেন, বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য তাঁরা জানুয়ারী মাস নাগাদ ফের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। অন্যদিকে, এদিন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক মহম্মদ এনাউর রহমান জানিয়েছেন, এদিন দক্ষিণ পূর্ব রেলের ডিআরএমের সঙ্গে ফ্লাইওভার হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানুয়ারী মাসেই পূর্ত দপ্তরের হাতে এই ব্রীজকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি পুরনো ব্রীজকে এখনই ভেঙে ফেলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে, এদিন ডিআরএমের আসাকে কেন্দ্র করে আরপিএফের বিরুদ্ধে ব্যাপক অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে। এদিন হটুদেওয়ান পীড়তলার বাসিন্দা পেশায় টোটো চালক সেখ আবসার জানিয়েছেন, এদিন তিনি একটি ভাড়া নিয়ে ষ্টেশনের মুখে নামান। এই সময় হঠাতই একজন আরপিএফের উর্দি পরা জওয়ান এসে তাঁকে বেধড়ক গালিগালাজ করে ব্যাপকভাবে মারতে থাকে। মারের চোটে তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে তারপরেও তাঁকে মারধর করা হয়। কিন্তু কি কারণে তাঁকে মারধর করা হচ্ছে তা তাঁকে জানানো হয়নি।
এদিকে, এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভে ফেটে পড়েন ষ্টেশনে আসা মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শী সবিতাব্রত হাটি, আলমগীর ভুঁইঞা প্রমুখরা জানিয়েছেন, আরপিএফ এদিন রীতিমত নির্মম এবং অন্যায়ভাবে অত্যাচার চালিয়েছে। এব্যাপারে এদিন ডিআরএম সঞ্জয় কুমার সাহা জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই আরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে।

Recent Posts