ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: গোষ্ঠীদ্বন্দ নয়, দলের স্বার্থেই জনসংযোগের কাজ করে যেতে হবে। তাতে দলের মনোনীত প্রার্থী তাঁর প্রচারে তাঁকে ডাকলো কি ডাকলো না সেই নিয়ে হেলদোল নেই বর্ধমান উত্তরের জেলাপরিষদের সদস্য নুরুল হাসানের। তাঁর জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে রয়েছে কমবেশি প্রায় ৯০টি বুথ। সবকটি বুথই বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পরে। আর এই সমস্ত বুথ এলাকায় তিনি এখন সকাল থেকে বেড়িয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নতুন স্টাইলে জনসংযোগ করছেন। যার নাম দেওয়া হয়েছে পুষ্টি সংগ্রহ। দেখা হবে ময়দানে, খেলা হবে মাঠে – এই নাম দিয়েই চলছে পুষ্টি সংগ্রহের নামে অঞ্চলে অঞ্চলে, পাড়ায় পাড়ায় জনসংযোগ।
এলাকায় এলাকায় গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ, সমস্যার কথা শুনছেন নুরুল বাবু। তাঁর ক্ষমতার মধ্যে (জেলা পরিষদ সদস্য হিসাবে) যা তিনি করতে পারবেন দিচ্ছেন তাঁর প্রতিশ্রুতিও। আর তার পরেই অকাল পিকনিকে অংশ নিচ্ছেন। যে এলাকায় যাচ্ছেন সেই এলাকাতেই হচ্ছে এই জনসংযোগ যাত্রার অঙ্গ হিসাবে এলাকার তৃণমূল নেতা কর্মীদের নিয়ে পিকনিকের ঢঙে খাওয়া দাওয়া। মুরগির মাংস, পোলাও সবই থাকছে মেনুতে।
উল্লেখ্য বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে নিশীথ মালিককে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নিশীথ মালিক সিপিএম প্রার্থী অপর্ণা সাহাকে প্রায় সাড়ে এগারো হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জয়ী হন। কিন্তু খোদ তৃণমূলের অন্দরেই অভিযোগ, গত ৫ বছরে তিনি বর্ধমান উত্তর বিধানসভার কিছু নেতাকে যেমন অতিরিক্ত প্রাধান্য দিয়ে চলেছেন তেমনি, অনেক নেতাকে পাত্তাই দেননি। তাঁদের কোনো কর্মসূচীতেই ডাকা হয়নি। বিধানসভার এলাকা উন্নয়নেও একাধিক নেতাকে কোনো গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। ফলে একটু একটু করে কার্যতই তিনি দলের মধ্যেই বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠীর জন্ম দিয়ে তাঁকে লালন পালন করেছেন বলে অভিযোগ।
ফলে সেই আবহেই এবার বিধায়কের বিরোধী গোষ্ঠী চেয়েছিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবার তাঁর বদলে অন্য কাউকে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু বাস্তবে বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠীর আবেদনকে আমল দেয়নি দল। তাঁকেই দ্বিতীয়বারের জন্য প্রার্থী করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সকাল থেকে সন্ধ্যে বিভিন্ন মন্দিরে, মসজিদে গিয়ে প্রার্থনা যেমন করছেন, তেমনি চুটিয়ে প্রচারও চালাচ্ছেন নিশীথ মালিক। কিন্তু তাঁর এই প্রচারগুলিতে ডাক পাচ্ছেন না সেই সমস্ত বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। অনেকেই কার্যত বসে গেছেন। কিন্তু তারই মধ্যে নজর কাড়ছেন বর্ধমান উত্তরের জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল হাসান।