এলাকার বাসিন্দাদের কেউ কেউ দাবী করেন, এই জমিটি ওয়াকফের। আবার কেউ বলে সরকারী খাস জমি। আর সম্প্রতি সেই জায়গাকে ঘিরেই এখন গোটা এলাকায় সোরগোল শুরু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা শিবেন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, একটা সময় এই জমিটি জলাজায়গা হিসাবে ছিল। আস্তে আস্তে সেই জমি হয়ে উঠেছে এলাকার নোংরা আবর্জনা ফেলার জায়গা। বর্তমানে আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে এই জায়গা। অথচ এই জায়গাতে তৎকালীন রাজ্যের ওয়াকফ দপ্তরের মন্ত্রী মহবুব জাহেদি একটি পার্ক করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ইতিমধ্যে গত ২০১৬ সাল নাগাদ এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছেও এই জায়গাটি সদ্ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানান। যথারীতি এলাকার বাসিন্দাদের দাবী অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবারও নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও কেটে গেছে কয়েকটা বছর। আজও ওই জায়গার সদ্ব্যবহার হয়নি। উপরন্তু প্রতিদিনই বাড়ছে জঞ্জালের স্তূপ। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সরকারীভাবে এই জায়গাকে ব্যবহার করা হোক। প্রয়োজনে বয়স্ক ও শিশুদের খেলার উপযোগী করে পার্ক তৈরী করা হোক। একইসঙ্গে যেহেতু এই এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নোংরা আবর্জনা ফেলার ভ্যাট না থাকায় পুরসভা তারও উদ্যোগ নিক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পানীয় জল সরবরাহের জন্য এই এলাকার গলি রাস্তাগুলিতেও ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। ফলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই দায় হয়ে উঠেছে এলাকার বাসিন্দাদের। এরই মধ্যে গোদের উপর বিষ ফোঁড়া হয়ে উঠেছে পাড়ার মাঝে এই আবর্জনার স্তূপ। এদিকে, এই বিষয় সম্পর্কে বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এব্যাপারে এখনও তাঁর কাছে কোনো আবেদন আসেনি। আবেদন জানালে তিনি খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অন্যদিকে, পুরসভার উপ পুর প্রশাসক আইনুল হক জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের মধ্যে তিনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুর প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন। তারপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।